ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

‘ভোক্তার অধিকার রক্ষায় দেশব্যাপী অভিযান’

প্রকাশিত : ০৩:৫১ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:১৮ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ভোক্তার অধিকার রক্ষায় দেশব্যাপী অভিযান চলছে, চলবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার অধিদফতর ও কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্যাব) যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম লস্করের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, বাণিজ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাবভাা ভাপতি গোলাম রহমান, এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

বাণিজ্যমন্ত্রী ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার অধিদফতরের উদ্দেশ্যে বলেন, ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে আপনাদের দক্ষতার সাথে কাজ করতে হবে। খাদ্যে ভেজাল, পরিমাপে কম দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন কোম্পানির নামে। যেই ভেজাল দিক এজন্য নিয়মিত বাজার তদারকি করতে হবে, এ অভিডান চলবে।

তিনি বলেন, নিয়মিত বাজার তদারকি আর আমাদের সচেতনতার কারণে এখন খাদ্যে ভেজাল অনেক কমে এসেছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা ফিরে আসায় আগে অভিযোগ ছিল অনেক এখন অভিযোগ নাই। তারপর আরো অনেক কাজ করতে হবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরকে।

অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ভোক্তারা অধিদফতরে অভিযোগ করে সফলতা পাওয়ায় এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। গত ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে অভিযোগের পরিমাণ ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভোক্তাদের অভিযোগের সংখ্যা ছিল ৬৬২টি। মাত্র এক বছর ব্যবধানে এই সংখ্যা ৬ হাজার ১৪০টিতে গিয়ে দাঁড়ায়। ২০১০-১৩, এ তিন বছরে ভোক্তা অধিকার অধিদফতরে অভিযোগ পড়ে মাত্র ১৭৯টি। ওই বছরই সব অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়।

এছাড়া ২০১৪-১৫ সালে ২৬৪টি, ২০১৫-১৬ সালে ৬৬২টি, ২০১৬-১৭ সালে ৬ হাজার ১৪০টি এবং ২০১৭-১৮ (১১ মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) ৬ হাজার ৩০৯টি অভিযোগ পায় অধিদফতর।

এর আগে ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও র‌্যালি করে বিভিন্ন সংগঠন। র‌্যালিতে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রেতা-ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন, ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডশন, বাংলাদেশ কনজুমার রাইটস সোসাইটি, ভলান্টারি কনজুমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি, কনজুমারস ফোরাম ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘এন্টিবায়োটিক যুক্ত খাদ্যকে না বলুন’।

 

/ আর / এআর