সাভারে ‘শক্তিবর্ধক হালুয়া’ খেয়ে দুজনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ঢাকার সাভার উপজেলায় ‘শক্তিবর্ধক হালুয়া’ খেয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। যারা রাস্তার কবিরাজের বিক্রি করা কথিত শক্তিবর্ধক হালুয়া খেয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়া আরও দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা সবাই স্থানীয় বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক।
সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপতালের ব্যবস্থাপক বাবুল হোসেন বলেন, ভাদাইল এলাকা থেকে জিল্লুর রহমান, মোতালেব শেখ, শামীম শেখ ও ফরিদ উদ্দিন নামে চার যুবককে বুধবার গভীর রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসেন কয়েকজন। তাদের মধ্যে জিল্লুর ও মোতালেবকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তারা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। আর শামিম ও ফরিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
জিল্লু টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর থানার ধবুলিয়া গ্রামের সবুজ শেখের ছেলে। আর মোতালেব একই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে। চিকিৎসাধীন শামীম শেখ ওই গ্রামের আবুল শেখের ছেলে। ফরিদ উদ্দিনের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার ওসি আবদুল আউয়াল বলেন, তারা ভাদাইলে মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। কী ধরনের বিষক্রিয়ায় তারা আক্রান্ত হয়েছেন, সে বিষয়ে পরীক্ষা না করে কিছু বলতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে ওসি বলেছেন, বুধবার গভীর রাতে তারা কারখানা থেকে ফিরে ‘কবিরাজের কাছ থেকে আনা মালমশলা দিয়ে শক্তিবর্ধক হালুয়া তৈরি করে’ খান। কিন্তু কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা তাদের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, সাভারের পথেঘাটে একশ্রেণির কথিত কবিরাজ হ্যান্ডমাইকে ‘শক্তিবর্ধক হালুয়া’ বিক্রি করেন।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমজাদুল হক বলেন, বিভিন্ন জায়গায় এই কথিত শক্তিবর্ধক হালুয়া বিক্রি হয়। কেউ কখনও অভিযোগ দেয়নি। এটা আসলে শক্তিবর্ধক কিনা বা ক্ষতিকর কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ আমার কাছে নেই।
ওই চারজনের বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে মোহাম্মদ আলীর বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক নূরুল হক বলেন, রাতে তারা কি যেন খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন মোতালেবের ভাই নাসির উদ্দিন তাদের প্রতিবেশীদের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা ঠিক কী খেয়েছিল তা আমি সঠিক জানি না।
এসএইচ/