ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

দক্ষিণ এশিয়ার ব্যয়বহুল শহর ঢাকা

প্রকাশিত : ১০:১৭ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবথেকে ব্যয়বহুল শহর ঢাকা। নয়া দিল্লী, করাচির মত শহরগুলোকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকেই সব থেকে ব্যয়বহুল বলছে লন্ডন ভিত্তিক সংস্থা ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-ইআইইউ।

যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় পত্রিকা দ্য ইকোনমিস্টের এই শাখা সংস্থাটি বলছে, গত ১২ মাসে ঢাকার জীবনযাত্রার মান কমে এলেও এখনও তা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন বড় শহরগুলোর থেকে। এমনকি এশিয়ার ইউরোপ খ্যাত তুরস্কের ইস্তাবুলের থেকেও একধাপ বেশি ব্যয়বহুল শহর ঢাকা।

‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কস্ট অব লিভিং ২০১৮’ শীর্ষক ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সব থেকে ব্যয়বহুল শহরগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ঢাকার অবস্থান ৭২। উলটো দিকে, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লী, ব্যাঙ্গালোর এবং চেন্নাই এর অবস্থান যথাক্রমে ১২৪, ১২৬ আর ১২৯ তম স্থানে। আর পাকিস্তানের করাচি আছে ১২৭ নম্বর স্থানে।

আর এমন অবস্থানে বিশ্বের সবথেকে কম ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় স্থান পেয়েছে ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই এবং করাচি। বিশ্বের সবথেকে কম পঞ্চম ব্যয়বহুল শহর ব্যাঙ্গালোর, ষষ্ঠ করাচি এবং অষ্টম চেন্নাই। আর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কো বিশ্বের সবথেকে কম ব্যয়বহুল শহর।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্বের এসব শহরের প্রায় ১৬০ ধরনের পণ্য ও সেবার দামের তুলনা করে এই তালিকা করা হয়েছে।এসব পণ্য ও সেবার মধ্যে আছে খাবার ও পানীয়, পোশাক, বাড়ি ভাড়া, গৃহস্থালি পণ্য, প্রসাধন সামগ্রী, পরিবহন ব্যয়, স্কুল খরচ, ইউটিলিটি বিল, বিনোদন ইত্যাদি।

বাংলাদেশের বিষয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, “আবারও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ সামনে আবারও রাজনৈতিকভাবে অস্থির হতে পারে। দেশের জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং শ্রমিক অসন্তোষ এর জন্য অন্যতম মূল উপাদান। ভ্যাট চালু করতে না পারার কারণে ২০১৭-১৮ বাজেটে কর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ থেকে ব্যর্থ হতে পারে দেশটি। তবে অবকাঠামোর দ্রুত উন্নয়নের ফলে ২০১৮-২২ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। তবে বর্তমান অবস্থায় ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য মান কমে যাবে।      

বরাবরের মত এবারও বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হিসেবে তালিকার শীর্ষে আছে সিঙ্গাপুর সিটি। এছাড়াও শীর্ষ দলে জায়গা পাওয়া বাকিরা হলো- ফ্রান্সের প্যারিস, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, হংকং, নরওয়ের অসলো, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা, দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, ইসরায়েলের তেল আবিব ও অস্ট্রোলিয়ার সিডনি।

সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট

//এস এইচ এস//টিকে