ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

এবার প্রিলিতেই কোটা চায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা

প্রকাশিত : ০১:০৬ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:৪৯ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার

সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাতীয় ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন কোটাবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করে তুলেছেন, তখন এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে পাল্টা আন্দোলনে নেমেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিরা। শুধু তাই নয়, কোটা সংস্কারে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ বাতিল করে, বিসিএসে প্রিলিমিনারি থেকেই কোটা প্রথা সংস্কারের দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী এ দাবি জানায়। এদিকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীরা কোটা বিরোধী অন্দোলনে নেমেছে বলেও অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। কোটাভূক্ত খালি আসন মেধা তালিকা থেকে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত সরকার সম্প্রতি নিয়েছে, তাও বাতিলের দাবি জানান তারা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ ব্যানারে এ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন  আন্দোলনকারীরা।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল সাড়ে দশটায় এ সমাবেশ ও মানববন্ধন শুরু হয়। সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আহমেদ রাসেলসহ অন্য নেতারা অংশ নেন।

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও ৫ দফা দাবিতে আয়োজিত এ সমাবেশ ও মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। তাই এ সরকার তাদের সম্মান দিয়েছে। কোটাসহ রাষ্ট্রীয় কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। যা দেখে মুক্তিযু্দ্ধের বিপক্ষের শক্তি স্থির থাকতে পারছে না। তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা মুক্তিযু্দ্ধের সন্তান হয়ে এটা হতে দিতে পারি না।

তিনি বলেন, ‘আমরা এ এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই। বিসিএসসহ সব পাবলিক পরীক্ষায়  প্রিলি থেকে কোটা চাই। মুক্তিযোদ্ধা কোটার শূণ্য পদের সংরক্ষণ চাই। ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সব নিয়োগের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাস্তবায়ন চাই।’

সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আহমেদ রাসেল বলেন, হঠাৎ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদ দেওয়ার দাবিতে একটি শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা সরকারের এ সুযোগ বন্ধে তারা নানাবিধ প্রচারণা চালাচ্ছে, সরকারের দৃষ্টি আকর্শণের চেষ্টা করছে। তাই আমরাও সরকারকে বলতে চাই, এ দেশ লাখ শহীদের; শহীদদের সেই পরিবারের দেওয়া সুযোগ আমরা বন্ধ হতে দিব না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন চলছিল।

আরকে// এমজে