ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

জয়ের নায়ক মাহমু্দউল্লাহ

প্রকাশিত : ১১:৪৩ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১২:০৭ এএম, ১৭ মার্চ ২০১৮ শনিবার

অনেক নাটকীয়তার পর শেষ হাসি হাসল বাংলাদেশ। তবে এ হাসির পেছনে যে গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের কুলম্যান খ্যাত মাহমুদউল্লাহ। ১৮ বলে ৪৩ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তিনি।

শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১২ রানের। কিন্তু শ্রীলঙ্কার শেষ ওভারের প্রথম দুটি বলই বাউন্সার ছিল। বাউন্সার হওয়ার কারণে প্রথম দু’বল ভালোভাবে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যে দ্বিতীয় বলে মুস্তাফিজ আউট হয়ে ফেরেন। এরপরই বাধেঁ ঝগড়া। প্রথম বলে বাউন্সার হওয়ায় রান নেয়নি বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় বলে ফের বাউন্সার আবার আউট এটা মেনে নিতে পারেনি বাংলাদেশ দল। কিন্তু এরপরও হাল ছাড়েনি বাংলাদেশে।

এরপর ম্যাচের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ। বাকি আছে দু’বল। জয়ের জন্য দরকার ৬ রান। একবল হাতে রেখেই ওভারে পঞ্চম বলে ছক্কা হাকিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান তিনি। এ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

এর আগে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ দলপতি সাকিব। দলীয় ৪১ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে সাত উইকেটে ১৫৯ রানের লড়াকু স্কোর গড়ে লঙ্কানরা। ঘুরে দাঁড়ানো ব্যাটিংয়ে ৯৭ রানের পার্টনারশিপ উপহার দেন কুশল পেরেরা ও থিসারা পেরেরা।

১৯তম ওভারে থামেন ওয়ানডাউনে নামা কুশল পেরেরা। তার ৪০ বলে ৬১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কার মার। শেষ ওভারে ফেরেন থিসারা পেরেরা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩টি করে চার-ছক্কার সাহায্যে করেন ৩৭ বলে ৫৮।

ওপেনার দানুস্কা গুনাথিলাকা ৪, কুশল মেন্ডিস ১১, উপুল থারাঙ্গা ৫ (রানআউট), দাসুন শানাকা (০), জীবন মেন্ডিস (৩) রানে সাজঘরের পথ ধরেন। ইসুরু উদানা ৭ ও আকিলা ধনাঞ্জয়া ১ রানে অপরাজিত থাকেন।

ইনজুরি কাটিয়ে প্রায় দু’মাস পর দলে ফেরা সাকিব ২ ওভারে ৯ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নেন। চার ওভারে ৩৯ রান খরচায় দু’টি উইকেট লাভ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। একটি করে পান রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সৌম্য সরকার। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বেশি থাকায় বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলামকে বোলিংয়েই আনেননি সাকিব।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দেখায় রেকর্ড ২১৫ চেজ করে জয় তুলে নেয় টিম বাংলাদেশ। ৩৫ বলে ৭২ রানের এক বিস্ফোরক ইনিংস উপহার দেন মুশফিকুর রহিম।

এমএইচ/টিকে