ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

অসহায় মমতাজ বাঁচতে চায়

প্রকাশিত : ০২:০৬ পিএম, ১৭ মার্চ ২০১৮ শনিবার

মানুষ মানুষের জন্য

জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না
ও বন্ধু…. বিখ্যাত গানটি ভূপেন হাজারিকার। একটু সহানুভূতি পেতে চান গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সুলতানপুর বাড়াইপাড়া গ্রামের মৃত তছলিম উদ্দিনের ছেলে দরিদ্র মমতাজ উদ্দিন। ২০১১ সাল থেকে মুখে বিশালাকৃতির এক টিউমার নিয়ে কষ্ট আর অসহ্য যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছে।

অসহায় মমতাজকে সুস্থ করার আশায় সহায় সম্পদ যা ছিল সবই বিক্রি করে নিঃস্ব এখন দরিদ্র পরিবারটি। এ পরিবারটির নেই মাথা গোজার ঠাই পরের জমিতে করছে বসবাস। চিকিৎসকরা দ্রুত অস্ত্রোপচার করা হলে মমতাজ সুস্থ হবে বলে জানালেও সেজন্য যে অর্থ প্রয়োজন, তা যোগাড় করতে পারছে না পরিবারটি। ফলে ক্রমেই মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে মমতাজ।

মমতাজকে সুস্থ করতে সমাজের বিত্তবান মানুষ এবং সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন মমতাজের স্বজন ও এলাকাবাসী।
মমতাজ উদ্দিন (২৮) জানান, জীবিকার তাগিদে ২০১১ সালে ঢাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি শুরু করেছিলেন। কিছুদিন পরে হঠাৎই মুখের বাঁ পাশে দেখা দেয় ছোট আকারের একটি টিউমার। দিন যতোই যায় ততোই টিউমারটি ফুলে বড় হতে থাকে। বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে আসতে হয় তাকে। চিকিৎসকের পরামর্শে রংপুরে একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারও করান। ভালোই ছিলেন এক বছর। পরে আস্তে আস্তে টিউমারটি আবার বড় হতে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে অসহ্য নরক-যন্ত্রণা। মাঝে মাঝে টিউমার থেকে রক্ত ঝরে। তখন অন্যর সাহায্যে ছাড়া চলতে পারেন না। একারণে বউ তাকে তালাক দিয়ে ছেড়ে যায় ৪ বছরের কন্যা সন্তান রেখে।

অসহায় মমতাজ উদ্দিন বলেন, আমি বাঁচতে চাই। দয়া করে আপনারা আমাকে বাঁচান। কাজকর্ম করতে না পারায় আমার সংসার চলে না। সংসার না চলায় স্ত্রী চার বছরের একমাত্র মেয়েকে ফেলে গেছে বাপের (বাবার) বাড়িতে। প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিত্তবানদের নিকট আমার চিকিৎসার্থে সহায়তা চাই। আমি স্বাভাবিকভাবে দুনিয়ার বুকে বাচতে চাই।

মমতাজের প্রতিবেশী মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এদের ভাইগণের নিজের সংসারই ঠিকমতো চলে না। ওর চিকিৎসার পিছনে সহায় সম্পদ সব শেষ। বিক্রি করার মতোও কিছু আর নেই। ডাক্তার জানিয়েছে, মমতাজকে বাঁচাতে হলে দ্রুত অপারেশন করতে হবে। অপারেশন না করালে টিউমারটি ক্যান্সারে পরিণত হয়ে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়বে। মমতাজের অপারেশনে প্রচুর টাকার প্রয়োজন। কিন্তু সংসারের অভাবের কারণে কোনোভাবেই টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। টাকার অভাবে মমতাজের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এজন্য সবার সহায়তা প্রয়োজন।

অসহায় মমতাজের মা জোহরা বেগম বলেন, ‘মমতাজকে সুস্থ করতে সম্পদ যা ছিল তা বিক্রি করে এখন আমরা নিঃস্ব। তাছাড়াও দুই বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ায় দুবেলা খাবার জোটানোও কষ্ট হচ্ছে আমার। দেখতে দেখতে মমতাজের টিউমারটি অস্বাভাবিক বড় হয়ে গেছে। এ কারণে সে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারেছে না। অপারেশন ও চিকিৎসা না করলে কোনোভাবেই মমতাজকে বাঁচানো যাবে না।
ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তার অসহায় মা।

মমতাজের টিউমারের বিষয়ে কথা হয় পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সজীব কুমারের সাথে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মমতাজের টিউমারটি ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে কিনা তা নির্ণয়ে করতে প্রয়োজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা। অতি তাড়াতাড়ি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে মমতাজকে সুস্থ করা সম্ভব।

দেশের বিত্তবানরা অসহায় মমতাজকে সহায়তা পাঠাতে পারেন আল আরাফাত ইসলামী ব্যাংক সঞ্চয়ী হিসাব নং -১৩৭১১২০০১৮২৭৫। পার্সনাল বিকাশ নাম্বার-০১৮৫৫৪১৪৭৪৬ নাম্বারে।

এসএইচ/