বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় ঢামেকে মেডিকেল টিম
প্রকাশিত : ০৭:৩২ পিএম, ১৭ মার্চ ২০১৮ শনিবার
নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস বিমান বিধ্বস্তে আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ১৩ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্তলাল সেনকে প্রধান করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে এ বোর্ড গঠন করা হয়।
শনিবার দুপুর ১২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ এ কমিটি ঘোষণা করেন।
মেডিকেল টিমের সদস্যরা হলেন- সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের ডা. মো. আবুল কালাম, অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসেন খন্দকার, অধ্যাপক এ জেড এম মুস্তাক হোসেন তুহিন, অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. মোজাফ্ফর হোসেন (অ্যানেসথেসিয়া), অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের পরিচালক ও অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক আলম, ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ (মেডিসিন), অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন (মেন্টাল অ্যান্ড হেলথ), ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির, ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজি জহির উদ্দিন ও সাইক্রিয়াটিস্ট জামাল হোসেন।
সভা শেষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, আহতদের মধ্যে শারীরিকভাবে কেউ এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেই। তবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় মেডিকেল বোর্ডে মানসিক চিকিৎসকও রাখা হয়েছে। তারা আজ থেকেই চিকিৎসা শুরু করেছেন।
ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নেপালে চিকিৎসাধীন আহত বাংলাদেশিদের ৪ জনকে ইতোমধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ঢামেকের বার্ন ইউনিটে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে বাকি ৫ জনের মধ্য দুইজনের অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’ হওয়ায় তাদের একজন ইমরানা কবিরকে আজ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নয়া দিল্লিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হবে। অপরজন ইয়াকুবকে স্বজনদের অনুরোধে নেপালেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, রুবাইত বশিরকে আজ বাংলাদেশে আনা হচ্ছে। অপর দুইজন কবির হোসেন ও শাহিন হাওলাদারকে আগামীকাল দেশে আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়। বিমানের ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বাংলাদেশি ১০ জন, নেপালের ৯ ও মালদ্বীপের ১ জন রয়েছেন।
একে//এসি