ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালিত

প্রকাশিত : ১২:০৩ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৮ রবিবার

বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে কলকাতায়ও শনিবার সকালে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপিত হয়।

শনিবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার ৮ স্মিথ লেনের সরকারি বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করা হয়। এ সময় আবক্ষমূর্তিতে মাল্যদান করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ উপহাইকমিশনের কর্মকর্তারা। এছাড়াও মাল্যদান করেন বাংলাদেশের সাবেক সাংসদ শাকিল আহমেদ জয়।

এ সময় সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ বিমান, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতিসহ কলকাতার কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন আবক্ষমূর্তিতে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।

এর আগে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশন দিনটি উদযাপনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেন।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষমূর্তিতে মাল্যদান, বিশেষ মোনাজাত, সকালে উপহাইকমিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত।

জন্মদিন উপলক্ষ্যে শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

কলকাতার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীসহ কলকাতার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

১৯১০ সালে বেকার হোস্টেল প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি সরকারি ছাত্রাবাস। বঙ্গবন্ধু কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে ডিগ্রি পড়ার সময় এই হোস্টেলে থাকতেন। ১৯৪৫-৪৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই বেকার হোস্টেলে ছিলেন। ছিলেন ২৪ নম্বর কক্ষে। বর্তমানে ইসলামিয়া কলেজের নাম বদলে রাখা হয়েছে মৌলানা আজাদ কলেজ।

১৯৯৮ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসু ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বর কক্ষটিকে যুক্ত করে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন। ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক সত্যসাধন চক্রবর্তী।

উল্লেখ্যে যে, এই স্মৃতিকক্ষে এখনো সংরক্ষিত রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি। রয়েছে বইপুস্তকও।

এমএইচ/এসি