বন্দর মহাসংকটে পড়তে পারে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১০ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১১:৩৮ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৮ রবিবার
দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ৭৫ শতাংশই পড়ে থাকছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সংরক্ষিত এলাকায়। দেশের অর্থনীতির আকার বাড়ার সাথে সাথে আধুনিক ধারণা, কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে না পারলে বন্দর মহাসংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়িরা। আর এই সংকটের জন্য পরস্পরকে দুষছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস হাউস। চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে রফিকুল বাহারের দুই পর্বের বিশেষ রিপোর্টের প্রথম পর্ব আজ।
দীর্ঘদিন ধরে পণ্য গুদামজাত করে রাখার নজির পৃথিবীর কোনো আধুনিক সমুদ্রবন্দরে নেই। প্রতিবেশী দেশ ভারতের কোলকাতার বন্দরেও পণ্য গুদামজাত করে রাখার ধারণাটি উঠে গেছে ২০১১ সালে। অথচ কোলকাতা বন্দর থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারবাহী পণ্য পড়ে থাকে মাসের পর মাস। যা জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামার মোট হিসেবে ৭৫ শতাংশ।
এভাবে পণ্য গুদামজাত করে রাখায় বিদেশ থেকে পণ্য নিয়ে আসা দেশী বিদেশী জাহাজকে অপেক্ষা করতে হয় এক সপ্তাহেরও বেশি সময়। একারণে গুণতে হয় ক্ষতিপূরণের মাশুল। আর এর প্রভাব পড়ে দেশের সাধারণ ভোক্তাদের উপর। এ অবস্থার অবসান চান শিপিং ব্যবসায়ীরা।
আমদানি রপ্তানি পণ্যের ৭৫ শতাংশ বন্দরে থাকলেও বাকি ২৫ শতাংশ পণ্য থাকে বন্দরের বাইরের ১৪টি অফডক বা কন্টেইনার ইয়ার্ডে। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য অফডকের সংখ্যা বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। কিন্তু অফডক করার বিদ্যমান নীতিমালায় সেটি অনেক ব্যয়বহুল আর ব্যবসা বান্ধব নয় বলে অভিমত এই ব্যবসায়ী নেতার।
আগামী দিনে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ও গতিশীলতা বাড়াতে হলে সরকারের নীতি নির্ধারকদের মনোযোগ বাড়ানোর উপরও জোর দিয়েছেন তারা।