1. প্রচ্ছদ
2. রাজনীতি

সংসদ অধিবেশন মুলতবি করার দাবিতে বা উপনির্বাচন দেওয়ার দাবিতে আহ্বান করা হরতাল সন্ত্রাসের সমার্থক হতে পারে বলে বলে মনে করে না কানাডার সর্বোচ্চ আদালত। আর সে কারণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা এবং সেই সংগঠনের সদস্য থাকার সূত্রে অভিবাসন আর্জি খারিজ করে দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন আদালত।

বিএনপিপন্থী আইনজীবী সংগঠনের সহকারী সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করা সাবেক একজন ছাত্রদল নেতার অভিবাসন বিষয়ক মামলার রায়ে এসব কথা উল্লেখ করেছেন কানাডার সর্বোচ্চ আদালত। আর যে যুক্তিতে আবেদনকারীর আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল, তার অযথার্থতা তুলে ধরে আবেদনকারীর অভিবাসনের আর্জি নতুন একজন কর্মকর্তার দায়িত্বে সম্পন্ন করার আদেশ দিয়েছেন আদালত ।

জানা গেছে, কানাডার অভিবাসী হতে আবেদন করা বাংলাদেশি ওই নাগরিকের আবেদন যাচাই করতে গিয়ে অভিবাসন কর্মকর্তা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন— বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। কারণ, সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে ডাকা হরতালে তারা ব্যাপক সহিংসতা করেছে। ওই আবেদনকারী নিজেকে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের একজন সাবেক সদস্য ও পরে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী পরিষদের একজন পদস্থ নেতা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির কর্মকাণ্ডের দায় তাকে নিতে হবে।  তাই সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হিসেবে তাকে কানাডায় শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে না।

উল্লেখ্য, আবেদনকারী ২০১৩ সালে কানাডায় গিয়ে দুই মাস পরে অভিবাসনের জন্য আবেদন করেন। পরে তার স্ত্রী ও কন্যাও কানাডায় গিয়ে অভিবাসনের আর্জি জমা দেন। আবেদনকারী জানিয়েছিলেন, তিনি ১৯৮০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রদলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৮৭ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যোগ দেন। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ সংগঠনের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।  তাই এসব তথ্যের ভিত্তিতে অভিবাসন কর্মকর্তা তাকে সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত  করেন। আর এর দায়ে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। পরে  বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন, এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সরকারি -বেসরকারি উৎসসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে তদন্তকারী আমলে নিয়েছিলেন।

একে// এআর