ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

সাব্বির-অপু কী থাকছেন স্কোয়াডে

প্রকাশিত : ০২:৩৩ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০২:৪০ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৮ রবিবার

নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে আজ ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচে চাঙা বাংলাদেশ নামবে স্নায়ুচাপে থাকা ভারতের বিপক্ষে। কারণ এর আগে সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ভারত জিতেছে লড়াই করে।
এই মূহূর্তে একটাই প্রশ্ন কেমন হবে আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ। সাধারণত উইনিং কম্পিনেশন ভাঙতে চায় না কোনো দল। তবে প্রয়োজন ও পারফরমেন্স বিবেচনায় আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ স্কোয়াডে একটি বা দুটি রদবদল এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
এই সিরিজে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না সাব্বির। নির্ভরযোগ্য এ মিডলঅর্ডারকে বারবার জায়গা পরিবর্তন করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই আজকের ম্যাচে তার থাকা না থাকা নিয়ে দোলাচল চলছে।
ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময় কাটাচ্ছেন এ মারকুটে ব্যাটসম্যান। শ্রীলঙ্কার সঙ্গেই তার বাদ পড়ার কথা ছিল। টিম ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করেছে, সাকিবই সাব্বিরকে দলে রাখতে চেয়েছেন। তাই নিজে ওয়ান ডাউনে না খেলে সাব্বিরকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে পাঠান। কিন্তু সেখানেও সুবিধা করতে পারেননি সাব্বির। ফিরে গেছেন ৮ বলে ১৩ রানে।
আজকের (রোববার) ফাইনালের আগেও ঘুরে ফিরে যত প্রশ্ন সাব্বিরকে নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোর গুঞ্জন ভারতের বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে খেলানো হবে না অফ ফর্মের সাব্বিরকে।
কিন্তু প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, ‘দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুব কম। নাই বললেই চলে।’ নান্নু ঘরের মাঠের তিন জাতি টুর্নামেন্টের ফাইনালের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ফাইনালে আমরা মোহাম্মদ মিঠুনসহ আরও কয়েজনকে সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। একটা টুর্নামেন্টের বড় সময় মাঠের বাইরে থেকে ফাইনাল খেলাটা সহজ কাজ নয়। নতুন কেউ আগের ম্যাচ না খেলে ফাইনালে গিয়ে বাড়তি চাপে পড়ে যায়। আমরা মিঠুনকে দেখেছি চাপের মুখে কিছুই করতে পারেনি। তাই নীতিগতভাবে দলে পরিবর্তনের চিন্তা নেই।’
কলম্বোয় অবস্থানরত ম্যানেজার সুজন জানান, এখন পর্যন্ত আগের ম্যাচের একাদশই বহাল আছে। আমরা পরিবর্তনের কথা ভাবছি না। তারপরও মাঠে গিয়ে উইকেট দেখে ও বুঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যতটুকু জেনেছি আজ খেলা হবে ফ্রেশ উইকেটে। কাজেই উইকেট না দেখে এখনই বলতে পারছি না কোন এগারো জন খেলবে। তবে আমরা ফাইনালে নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে চাই না। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আগের ম্যাচ খেলা দলটি সম্ভাবত সন্ধ্যায় ফাইনালে মাঠে নামবে।
সাব্বিরের নির্ঘাত বাদ পড়া থেকে বেঁচে যাওয়ার পেছনেও একটি গল্প আছে। সৌম্য সরকার ও লিটন দাসের বাজে পারফরমেন্সের কারণেও শাপে ভর হয়েছে তার জন্য। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯ বলে ৪৩ করা লিটন পরের ম্যাচ গুলোয় নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। লিটন-সৌম্যর শেষ দুই ইনিংসে রান যথাক্রমে (লিটন- ০, ৭ সৌম্য- ১০, ১)। কাজেই শুধু সাব্বিরের দিকেই দৃষ্টি নেই টিম ম্যানেজমেন্টের। এ বিষয়ে নান্নুর ভাষ্য, ‘সাব্বির তো তাও আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে (১৩,২৭) করেছে। সৌম্যর অবস্থা তো আরও খারাপ। কাজেই একা সাব্বিরকে বদলালেই কী আর ব্যাটিং লাইন আপের চেহেরা পাল্টে যাবে।’
এদিকে সাকিব দলে ফেরায় বাঁ-হাতি স্পিনারের কোটায় দু’জন (নাজমুল অপু সহ) বোলার হয়ে গেছে। মিরাজ-মাহমুদুল্লাহরা তো আছেনই। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে নাজমুলের কপাল পুড়তে পারে। যদিও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ১৬ জুলাই ঠিকই দলে ছিলেন অপু। কিন্তু অব্যবহৃত হয়ে থাকেন এ বাঁ-হাতি স্পিনার। তিনি এক ওভারও বোলিং করার সুযোগ পাননি।
অন্যদিকে সাকিব নিজেও বল করেছেন মাত্র দুই ওভার। তাই সবার দৃষ্টি ছিল নাজমুল অপুর দিকে। যেহেতু তাকে বল দেওয়া হয়নি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পুরো চার ওভার বল করেছেন- তাই মনে হচ্ছিল ফাইনাল খেলা হবে না অপুর। কিন্তু নান্নু ও সুজনের কথার সারসংক্ষেপে ইঙ্গিত মিলল অপু শেষ পর্যন্ত দলে থাকছেন। তবে ক্রিকেটবোদ্ধারা মনে করছেন, আজকের ম্যাচে অপুর চেয়ে কার্যকর হবে একজন তৃতীয় সিমার খেলানো। কারণ ভারত স্পিন ভালো খেলে। গতিতে দুর্বল তারা। তাই তাসকিন কিংবা আবু হায়দার স্কোয়াডে এলে টিম আরও ব্যালেন্সড হয়ে উঠবে। এছাড়া স্পিনে সাকিববে সঙ্গ দেওয়ার জন্য তো মিরাজ-মাহমুদুল্লাহরা আছেনই।
/ এআর /