ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

‘সমুদ্র ভান্ডার কাজে লাগাতে দরকার শক্তিশালী কর্তৃপক্ষ’

প্রকাশিত : ০৬:০৭ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৮ রবিবার

বাংলাদেশের সমুদ্র বক্ষে আছে বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনা। যা উন্মোচন করতে পারে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত। উন্নয়নশীল দেশের কাতার থেকে বাংলাদেশকে নিতে পারে উন্নত দেশের কাতারে। কিন্তু এ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। আমাদের টেকসই উন্নয়নের পথে হাটতে এ সুযোগ অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। আর এ সুযোগ কাজে লাগাতে দরকার স্বাধীন ও শক্তিশালী একটি কর্তৃপক্ষ।

আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইমফ্যাসিজ অন ইমপ্লিমেন্টিং দ্যা অপাচুনিটি অব ব্লু -ইকোনমি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ-মালায়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত এ সভায় মালায়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত এইচই নূর আশিকিন মোহদ তাইয়েব, বিএমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, বিএমসিসিআই সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ খানসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল খোরশেদ আলম।

সভায় মালায়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত এইচ ই নূর আশিকিন মোহদ তাইয়েব বলেন, সমুদ্র অর্থনীতির ধারণা সমুদ্র বেষ্টিত দেশগুলোতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। সমুদ্রের এ সম্পদ কাজে লাগিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বাড়ানো যেতে পারে। বাংলাদেশের ৩০ মিলিয়ন মানুষ কোন না কোনভাবে সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে তারা মাছ ধরা ও পরিবহনে সীমাবদ্ধ। কিন্তু সমুদ্রের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এখানেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না।

আমরা মনে করি, সমুদ্র সম্পদ কাজে দেশ টেকসই উন্নয়নের দিকে যেমন আগাবে, তেমন দারিদ্র হ্রাসেও এগিয়ে যাবে।

বিএমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাংলাদেশে সমুদ্র অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে শক্তিশালী ও স্বাধীন কোন রেগুলেটরি বডি বা কর্তৃপক্ষ নেই।তাই এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দ্রুত একটি মন্ত্রণালয় না হলেও শক্তিশালী অথরিটি দরকার। মনে রাখতে হবে আমাদের সমুদ্র সম্পদ  কাজে লাগালে ৪০ বিলিয়ন ডলার আয় সম্ভব।

মূল প্রবন্ধে অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল খোরশেদ আলম বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চলের বিভিন্ন সম্ভাবনার দিক তুলে ধরেন।তিনি, দেখার পার্শবর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমার গ্যাস উত্তোলন করলেও আমরা সেটা পারছি না।কারণ আমাদের তেমন কোন উদ্যোগ নেই। আবার এ ব্যাপারে দক্ষ কোন লোকও নেই।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটিতে এর কোর্স চালু হলেও সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কোন দক্ষ ছেলে বের হতে পারেনি।বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় সম্ভাবনাটি মুখ থুবড়ে আছে। এটাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নজর দিতে হবে।

আরকে// এআর