ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

কারাগারে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন দেড় হাজার বন্দি

প্রকাশিত : ০৭:০৪ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৮ রবিবার

কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেছেন, বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক হাজার ৫৮৮ বন্দি কারাগারে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। সাজা ভোগ করতে করতে তাঁরা নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কারও আবার দেখা দিয়েছে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা। কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও তাঁরা বছরের অধিকাংশ সময়ই অসুস্থ থাকেন। 

রোববার কারা সপ্তাহ-২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে কারা অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার জানান, দেশের ৬৮টি কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বন্দির সংখ্যা অনেক বেশি। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় সঠিক সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার আরও জানান, ৬৮টি কারাগারে মোট বন্দি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৩৬ হাজার ৬১৪ জন। কিন্তু ১৫ মার্চ পর্যন্ত কারাগারে বন্দি আছে ৭৭ হাজার ১২৪ জন। নারী বন্দি ধারণ ক্ষমতা এক হাজার ৬৭৪ জন। অথচ সেখানে নারী আছে দুই হাজার ৭৪৮ জন। পুরুষ ধারণ ক্ষমতা ৩৪ হাজার ৯৪০ জন। কিন্তু সেখানে আছে ৭৪ হাজার ৩৭৬ জন। এদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১৪ হাজার ৪৩ জন। এদের মধ্যে জঙ্গি বন্দি রয়েছে ৫৭৭ জন। আর বন্দি মায়ের সঙ্গে থাকা শিশু আছে ২৯৬ জন।

কারাগারে ৩৫ শতাংশ আসামি মাদকাসক্ত উল্লেখ করে আইজি প্রিজন বলেন, “আমাদের মধ্যে কিছু কিছু অসাধু ব্যক্তি রয়েছে। আমরা তো আর সবাই ফেরেশতা নই। তবে যার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা নিজেরাই পুলিশ দিয়ে তাদের ধরিয়ে দিচ্ছি। এমন অভিযোগে সারা দেশে ২০ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন বলেন, “বন্দিদের সংশোধন করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বন্দিদের সংশোধনে তিনটি কাজ করা হয়। প্রথমত শৃঙ্খলা, দ্বিতীয়ত চারিত্রিক সংশোধন ও তৃতীয়ত বন্দিদের জীবিকা নির্বাহের দক্ষতা বাড়ানো ও তাঁদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলা।”

তিনি আরও বলেন, “জনবলের স্বল্পতার কারণে আমরা কেবল তিন নম্বর কাজটা করতে পারছি। আর বাকি দুটি পারছি না।”

জেলকোড আইন সংশোধন হচ্ছে জানিয়ে আইজি প্রিজন বলেন, “ব্রিটিশ আমলের জেল কোড সংশোধন করে নতুন জেল কোড আইন প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে।”

কেআই/টিকে