ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

বিশ্ব যাদুঘর দিবস আজ

প্রকাশিত : ১০:১০ এএম, ১৮ মে ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ১০:১০ এএম, ১৮ মে ২০১৬ বুধবার

আজ ১৮ মে বিশ্ব যাদুঘর দিবস। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে নানা বৈজ্ঞানিক, শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শণ সমূহ সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের পাশাপাশি বিশ্বসভ্যতায় নিজেদের তুলে ধরাই এ দিবসের উদ্দেশ্য। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জাদুঘরের প্রভাব- এই শ্লোগানে পালিত হচ্ছে এবারের বিশ্ব জাদুঘর দিবস । ২৮০ খ্র্ষ্টপূর্বাব্দে আলেকজান্দ্রিয়ার দার্শনিক টলেমী‘র প্রতিষ্ঠিত ফিলোসফি মিউজিয়ামই ছিল প্রথম জাদুঘর। পরবর্তীতে প্লেটোর জ্ঞানকেন্দ্রও মর্যাদা পায় যাদুঘরের। তবে, জ্ঞান আর দর্শনের বাইরে প্রথম জাদুঘরের প্রর্বতন হয় ৬১১ সালে মেসোপটেমিয়ার রাজা শক্রুক নাহান্তের হাত ধরে। আর বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামকেই সাড়াপৃথিবীর জাদুঘরের বাতিঘর মনে করা হয়। ধ্বসের কবল থেকে বিশ্বের প্রতœতত্ব নিদর্শন রক্ষার জন্য ১৯৭৭ সালে লন্ডনে ৯০টি দেশের ২০,০০০ জাদুঘরের যৌথ প্রদর্শণীর আয়োজন করা হয়। সে বছর থেকেই পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব জাদুঘর দিবস। ১৯১৩ সালে গর্ভণর লর্ড কারমাইকেল ঢাকায়, যে জাদুঘর স্থাপন করেছিলেন, সেটিই ১৯৮৩ সালে শাহবাগের অ্যাধুনিক ভবনে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর হিসেবে। প্রাচীন ইতিহাস, বিশ্ব সভ্যতা, শিল্পকলা, আর নানা নিদর্শন দেখতে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। জাতীয় জাদুঘরকে আরো যুগোপোযোগী করার উপর গুরুত্ব দেয়ার কথা জানালেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার। জাতীয় জাদুঘর ছাড়াও দেশব্যাপী ২০০ জাদুঘরগুলো সংরক্ষণ করে যাচ্ছে শ্বাশত ঐতিহ্য। জাদুঘরের নানামুখি গবেষণা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে এই ইতিহাসবিদ জানান, জাদুঘর ছাড়া কোনো জাতি সমৃদ্ধ হতে পারে না। ইতিহাস-ঐতিহ্যের নিদর্শন কোনো গোষ্ঠীর নয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ উল্লেখ করে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনে সরকারকে আরো আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।