ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ভোক্তাকে পণ্য ও সেবা পেতে ভ্যাট দিতে হবে ১৫ শতাংশ হারে

প্রকাশিত : ১০:৩৫ এএম, ১৮ মে ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ১০:৩৫ এএম, ১৮ মে ২০১৬ বুধবার

আগামী ১লা জুলাই থেকে যে কোনো পণ্য ও সেবা পেতে সাধারণ ভোক্তাকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় থাকছে না বিভিন্ন প্যাকেজ সুবিধা। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, ঢালাওভাবে আইনটি কার্যকর হলে দ্রব্যমূল্য বাড়বে। তবে, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ব্যবসায়ী ও ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করেই নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করা হবে। আমূল পরিবর্তন আসছে ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়ায়। ০১ জুলাই থেকে উঠে যাচ্ছে ভ্যাটের প্যাকেজ পদ্ধতি। বাদ দেয়া হচ্ছে ভ্যাট হিসাবায়নে সংকুচিত ভিত্তিমূল্য ও ট্যারিফ মূল্য পদ্ধতিও। এতে ১ হাজার ৯৭৩টি পণ্যের ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা থাকছে না। সব ধরনের পণ্য ও সেবার জন্য ভোক্তাকে গুনতে হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। এতে পণ্য ও সেবার মূল্য অস্বাভাবিক বাড়বে বলে জানালেন ব্যবসায়িরা। বর্তমানে গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিলে ভ্যাট দিতে হয় ৫ শতাংশ। নতুন আইনে দিতে হবে ১৫ শতাংশ। প্রতি টন এম এস রডে ভ্যাট রয়েছে ৪১২ টাকা। নতুন আইনে ক্রেতাকে দিতে হবে প্রায় ৭ হাজার টাকা। এতে খরচ বাড়বে সরকারি ও বেসরকারি অবকাঠামো নির্মাণে। সোনা ও হীরায় ভ্যাট রয়েছে ৫ শতাংশ। নতুন আইনে ভ্যাট দিলে প্রতি ভরি সোনায় ক্রেতাকে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে প্রায় ৪ হাজার টাকা। এছাড়া রেস্টুরেন্ট ও পোশাকেও ক্রেতাকে গুণতে হবে অতিরিক্ত প্রায় ১০ শতাংশ অর্থ। (গ্রাফিক্স) নতুন আইনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই কিছু ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্যাকেজ পদ্ধতি চালু রাখার পক্ষে এফবিসিসিআই। ব্যবসায়ীদের এমন আপত্তির প্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানালেন, সরকার এমন কিছু করবে না যাতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ অবস্থায় আইনটি সংশোধনের অনুরোধ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। আর, ঢালাওভাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন সাধারণ ব্যবসায়ী ও ভোক্তারাও।