ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

রুবেলের ১৯তম ওভার নিয়ে সাকিব যা বললেন

প্রকাশিত : ১২:০৬ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১২:২০ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৮ সোমবার

নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মেহেদী হাসান ও বাকি অফ স্পিনার বোলিং করলেও মাহমুদউল্লাহ বা সাব্বিরকে বোলিং করানো হয়নি। কারণ, মিরাজের প্রথম ওভারেই ছিল ১৭ রান। সেখানে সৌম্য সরকারকে দিয়ে তিন ওভার পূরণ করেছিলেন সাকিব। দুই ওভারে ২০ রান দেওয়ার পরেও। এছাড়া ভারতের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে মোস্তাফিজকেও আনা হয়েছিল আগে ভাগে। তাই ১৯তম ওভারে রুবেল হোসেনকে আনা হয়েছিল ভিন্ন পরিকল্পনায়।

কী ছিল সেই পরিকল্পনা? ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সংম্মেলনে সাকিব বলেন, মোস্তাফিজের দারুণ এক ওভারের পর শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ৩৪ রান। রুবেল কিন্তু আমাদের সেরা বোলার ছিল প্রথম তিন ওভারের পর। তার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। এমনটাও ভেবেছিলাম ও খুব বাজে করলে ১৫ রানের বেশি হয়তো দিবে না। শেষ দুই ওভারে ২০ রানের বেশি আশা করিনি। রুবেলকে ওই সময় আনার এটাই পরিকল্পনা ছিল।

রুবেলের ওভার কেন এত ব্যয়বহুল হলো? এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, আমার মনে হয়েছে দুই বলে রুবেল ১০ রান দেওয়ার পর নড়বড়ে পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছিল। আমি মনে করি এমন পরিস্থিতিতে পরে ওকে সহায়তা করতে পারবো।

ফাইনালে অল্পের জন্য এভাবে হারটাকে বড় করে দেখছেন না সাকিব। তার মতে, এখন কেঁদে কী হবে। আবেগপ্রবণ হওয়া যায়। আমরা এই পরিস্থিতিতে এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারি না। আশা করছি এখান থেকে শিক্ষা নিবো। আমি মনে করি আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

এমন হারের পর হৃদয় ভেঙেছে সাকিবেরও। বাংলাদেশ অধিনায়ক অবশ্য এই হৃদয়ভাঙা অভিজ্ঞতাকে খাটো করে দেখছেন না। তিনি মনে করেন ভবিষ্যতে কাজে লাগবে এই অভিজ্ঞতা। সাকিব ম্যাচের মূল্যায়ন করলেন এভাবেই, হেরে গেলে একটি ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। ছোট ছোট অনেক কিছুই আমরা পাল্টাতে পারতাম। যেটা পরে আমাদের সহায়ক হতে পারতো, জিতেও যেতে পারতাম।

যদিও জয়টা আসেনি বাংলাদেশের। সৌম্যর ওভারে শেষ বলে ছয়টা বিজয়ী করেছে ভারতকেই। আর একেই ক্রিকেটের আসল মহিমা মনে করেন সাকিব, ‘ক্রিকেটে এমনটি হয়েই থাকে। এ জন্যেই টি-টোয়েন্টি এতো রোমাঞ্চকর। ভারত কিন্তু ম্যাচের বাইরে চলে গিয়েছিল। কার্তিকের ঝড়ের আগে তেমন আভাসই পাচ্ছিলাম। আমরা ৩৮ ওভারে সব মিলিয়ে ভালোই ছিলাম। শুধু মিরাজের শুরুর ওভারে ১৭ ও রুবেলের শেষ ওভারটিতে ২২ রানের মতো এসেছে।’

এমন জয়ে দিনেশ কার্তিককে কৃতিত্ব দিলেন সাকিব। তার মতে, ম্যাচের মোমেন্টামটা পুরোটাই পাল্টে দিয়েছেন এই ক্রিকেটার, দিনেশ কার্তিককে কৃতিত্ব দিতেই হবে। লো ফুলটসে এভাবে ছয় মেরে শুরুটা সহজ কাজ নয়। যে ৮ বল খেলেছে তাতে ৫টিতেই ছিল বাউন্ডারি। মনে হয় সে ৩টি ছয় মেরেছে। এটা সত্যিই অসাধারণ ঝড় ছিল। আমরাও কাছে ছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারতই শেষ হাসি হেসেছে।

হারের ফলে নিজের দলকে পিছিয়ে রাখছেন না সাকিব, তাই বলে আমাদের কাছ থেকে কিছুই হারিয়ে যায়নি। টুর্নামেন্টে আমরা যেভাবে খেলেছি, এমনকি ফাইনালে, আমরা আমাদের ভালো দিকটা দেখাতে পেরেছি। খেলার মেজাজেই ছিলাম। আমার দলের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি চাইতে পারি না।

এসএইচ/