ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

২৩ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০২:২৬ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০২:৩১ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৮ সোমবার

নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ দেশে আনার পর ঢাকায় আর্মি স্টেডিয়ামে তাদের জানাজা হবে; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত থাকবেন সেখানে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আলমগীর কবির জানান, বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজে করে ওই ২৩ বাংলাদেশির কফিন ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। সোমবার বেলা ৩টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বিমানটি। এরপর কফিন নিয়ে যাওয়া হবে আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানে বিকাল ৪টায় হবে জানাজা।

মরদেহ হস্তান্তরের জন্য স্বজনদের ওই সময়ই উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আর্মি স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান আইএসপিআর পরিচালক।

ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১ গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হলে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চারজন ক্রুসহ ২৬ জন বাংলাদেশি।

নিহতদের মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করার পর নেপালি কর্তৃপক্ষ কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। তাদের কফিন সোমবার সকালে নিয়ে যাওয়া হয় দূতাবাস প্রাঙ্গণে।

নেপালে বসবাসরত বাংলাদেশি, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ইউএস-বাংলার উপস্থিত কর্মকর্তারা সেখানে জানাজায় অংশ নেন। পরে মরদেহ দেশে আনার জন্য পাঠানো হয় ত্রিভুবন বিমানবন্দরে।
এই ২৩ জনের মধ্যে পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশীদ এবং কেবিন ক্রু খাজা হোসেন মো. শফি ও শারমিন আক্তার নাবিলা রয়েছেন।

আর যাত্রীদের মধ্যে ফয়সাল আহমেদ, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আখতারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান, হাসান ইমাম, আঁখি মনি, মিনহাজ বিন নাসির, ফারুক হোসেন প্রিয়ক, তার মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী তামারা, মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভিন শশী রেজা, বেগম উম্মে সালমা, মো. নুরুজ্জামান, রফিক জামান, তার স্ত্রী সানজিদা হক বিপাশা, তাদের ছেলে অনিরুদ্ধ জামানের মরদেহ আসছে দুপুরে।

ওই দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে আলিফুজ্জামান, পিয়াস রায় ও নজরুল ইসলামের মরদেহ রোববার পর্যন্ত শনাক্ত করা বাকি ছিল।

নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস সোমবার সকালে বলেন, ওই তিন বাংলাদেশির মধ্যে আরও একজনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে, তবে নেপালি কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ চিকিৎসক দলের সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ এর আগে জানিয়েছিলেন, চিহ্ন দেখে বা অন্যভাবে ওই তিনজনকে শনাক্ত করা না গেলে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস জানান, নেপালে থাকা নিহতদের স্বজনদের নিয়ে ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ ঢাকায় ফিরছে। আমরা চেষ্টা করছি উনারা যেন একটু আগে গিয়ে পৌঁছান। উনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ডেডবডি রিসিভ করবেন। উনাদের আগে পৌঁছানো উচিৎ, সেটাই চেষ্টা করছি।

ওই দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া দশ বাংলাদেশির মধ্যে যে দুজন এখনও কাঠমান্ডুর হাসপাতালে আছেন, তাদের মধ্যে কবির হোসেনকে ইউএস-বাংলার ওই ফ্লাইটেই দেশে পাঠানো হচ্ছে। কাঠমান্ডতে অবস্থানরত বাংলাদেশি চিকিৎসকরাও একই সঙ্গে ফিরছেন।