ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

স্বয়ং আল্লাহ আমার বাকশক্তি ফেরত দিয়েছেন: তসলিমা নাসরিন

প্রকাশিত : ০৮:৪৪ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৮ সোমবার

আলোচিত ও সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন তার বাকশক্তি ফেরত পেয়েছেন। ভারতে নির্বাসিত এ লেখিকা সোমবার নিজের বাকশক্তি ফেরা নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। শনিবার তিনি তার বাকশক্তি হারিয়েছিলেন।

বাকশক্তি ফিরে পাওয়ার পর স্ট্যাটাসে তসলিমা নাসরিন লেখেন, ‘জবান নিয়েছিলেন ভাইরাস। জবান ফেরত দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ পাক। ভাইরাস নিলে সাত দিন। কিন্তু সাত দিন বাকশক্তিহীন থাকা ঠিক নয় বলে আজ সকালেই আল্লাহ পাক ফেরত দিলেন আমার বাকশক্তি। এর মধ্যে আমার বাকশক্তি লোপ পাওয়ার কথা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। বাপরে বাপ, মসজিদে মসজিদে নাকি সিন্নি দেওয়া হচ্ছে। খুশিতে কোরান খতম দিচ্ছে কেউ কেউ। আল্লাহ কিন্তু ওদের নজরের ভেতরে রাখছেন। কে যেন বলেছিল কথাটা, তারাই দোযখে যাবে, যারা ভাবে যে তারা নয় দোজখে যাবে অন্যরা, তাদের প্রতিপক্ষরা? ’

প্রসঙ্গত, ভাইরাসজনিত কারণে কথা বলার শক্তি হারিয়েছিলেন তসলিমা নাসরিন। এ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসে এ তথ্য নিজেই জানান তসলিমা। শনিবার দুপুর ২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন-‘সকালে উঠে দেখি আমি কথা বলতে পারছি না। কোনও স্বর বেরোচ্ছে না গলা দিয়ে। সাইন ল্যাংগুয়েজ কোনওদিন শিখিনি, কিন্তু দিব্যি ওটাই চালাচ্ছি। কী কারণে ভয়েস হারিয়ে ফেললাম জানি না। ডাক্তারের কাছে এসেছি। ভাবছি ভয়েসটা কি আদৌ ফিরে পাবো। ভয়েস যে এভাবে বলা নেই কওয়া নেই উবে যেতে পারে, জানতাম না।

পরে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন তিনি। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের পর তিনি আবারও স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লেখেন- ‘না, জবান আল্লাহ নেননি, জবান নিয়েছেন ভাইরাস। ডাক্তার জিভ টেনে বার করে দেখতে চাইলেন গলার ভেতরটা। সম্ভব হয়নি। আমি নাকি খুব সেনসিটিভ।

ওষুধ লিখে দিলেন, বলে দিলেন কোনওরকম কথা বলার চেষ্টা যেন না করি। প্রেস্ক্রিপশানের এক নম্বরেই লেখা ভয়েস রেস্ট। এতকাল সরকার আমার বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, এবার কাড়লেন ডাক্তার। অবশ্য বাকই নেই, আবার স্বাধীনতা কিসের!

৩/৪ দিন পরও স্বর ফিরে না এলে ফের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। তখন নাকি মুখে যন্ত্র ঢুকিয়ে ল্যারিংস না দেখতে পারলে নাক দিয়ে যন্ত্র ঢুকিয়ে দেখবেন। ভালো যে ডাক্তারি চাকরি ছেড়েছিলাম।যত বয়স বাড়ছে, তত আমার হাসপাতালে যাওয়ার অনীহা বাড়ছে।

এসি