‘আমি দ্বিতীয় জীবন পেলাম’
প্রকাশিত : ১১:২১ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:৩৫ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৮ সোমবার
নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানে ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ নিতে আসে তাদের স্বজনরা।
নিহতদের জানাজায় অংশ নিতে আর্মি স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন ওই দুর্ঘটনায় আহত মেহেদী হাসানও।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মেহেদী আর্মি স্টেডিয়ামে বলেন, `আমি দ্বিতীয় জীবন পেলাম। আমি তাদের জানাজায় অংশ নিতে চাই। এজন্য ডাক্তারদের অনুমতি নিয়ে এসেছি। জানাজায় অংশ গ্রহণের পরই আবার হাসপাতালে ফিরে যাবো।`
ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মেহেদীর ফুফাত ভাই এফএইচ প্রিয়ক ও প্রিয়কের মেয়ে তামারা প্রিয়ন্ময়ী। মেহেদী, তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও ফুপাত ভাইয়ের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি বেঁচে যান। কাঠমান্ডূ ট্রাজেডির ভয়াবহ সেই দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে শুক্রবার দেশে ফেরেন তারা।
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তারা কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে পরিচয় শনাক্ত হওয়া ২৩ জনের মরদেহ নিয়ে সোমবার বিকেল ৩টায় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা এক ঘণ্টা দেরিতে আসে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ বহনকারী বিমানটি সোমবার বিকেল ৪টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গত ১২ মার্চ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ৫১ জনের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে।
এসি