ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চীনকে মোকাবেলায় এবার যুক্তরাষ্ট্রে সফর ভারতীয় নৌ প্রধানের

প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ২০ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার

পাশ্ববর্তী দেশ চীনকে রুখতে সব ধরণের সহযোগিতা চাইতে যুক্তরাষ্ট্রে সফর করছেন ভারতের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল সুনিল লাম্বা। আজ মঙ্গলবার পাঁচ দিনের সফরের অংশ হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সফরকালে তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস, নৌসচিব রিচার্ড স্পেনসার, প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবাহিনীর সচিব অ্যাডমিরাল স্কচ সুইফট-এর মতো শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য ঠেকাতে বহুদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সহযোগিতা চেয়ে আসছে ভারত। অন্যদিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য চায় না যুক্তরাষ্ট্রও। এ নিয়ে একাধিকবার চীনের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলেছে দেশটির। শুধু তাই নয়, দেশটি ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় শত্রু চীন ও রাশিয়া। তাই অন্তত চীনকে মোকাবেলায় ভারতকে সহযোগিতা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রের দাবি, চীন ইস্যুটি নিয়ে শিগগিরই কৌশলগত সহযোগিতার দরজা খোলা হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকগুলোতে অগ্রাধিকার পাবে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি। কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকায় ভারতকে বৃহত্তর ভূমিকায় দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তাই দেশটি বিচ্ছিন্নভাবে বারবার রণতরী পাঠিয়েছে দক্ষিণ চীন সাগরে। ওই এলাকায় অবাধ নৌ চলাচলের পক্ষে অবস্থান জানাচ্ছে। তবে ভারতের সক্ষমতা চীনের সমমানের না হওয়ায় সেই আশায় গুড়েবালি হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় জানায়, লাম্বার এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ বার দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সমন্বয় আরও বাড়ানোর চেষ্টা হবে। অ্যাডমিরাল লাম্বা পার্ল হারবার-এ মার্কিন নৌ ঘাঁটি, পেন্টাগন, হাওয়াই-এ নেভাল সারফেস ওয়ারফেয়ার সেন্টার (এনএসডাব্লিউসি) পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।

ভারত চায়, যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করুক যাতে সমুদ্র নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও অবাধ নৌ চলাচলের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক দাবি মানতে বাধ্য হয় চীন।

উল্লেখ্য, তেহরানকে মোকাবেলায় ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সফর করছেন সৌদি-আরবের যুবরাজ প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান। তেহরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যুক্তরাষ্ট্রকে সব ধরণের সহযোগিতা করার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। এমনকি প্রয়োজনে কয়েক বিলিয়ন ডলার অর্থ খরচ করতেও প্রস্তুত সৌদি। 

সূত্র: আনন্দবাজার, এনডিটিভি
এমজে/