‘কোটা বড়জোর ১০ শতাংশ রাখা যেতে পারে’
প্রকাশিত : ০৪:১৭ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:১০ এএম, ২২ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী
একটি জাতি তখনই বড় হয়, যখন সেই জাতির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার এবং তাদের ধরে রাখার বিষয়টি অগ্রাধিকার পায়। বাংলাদেশ তখনই উন্নত করবে যখন দেশের প্রত্যেক নাগরিককে মানসম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারবে। কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বাজারমুখী না হওয়ার কারণে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছে পারছে না, ফলে পড়ালেখা শেষ করেও বহু শিক্ষার্থীর চাকরি মিলছে না। এমনটাই মনে করেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী।
সম্প্রতি একুশে টিভি অনলাইনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকার তিনি এসব কথা বলেন। তার কথায় উঠে এসেছে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কার, কোচিং বাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের চাকরির সমস্যা, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসহ শিক্ষাব্যবস্থার নানা অসঙ্গতি-গলদ। তরুণদের কর্মসংস্থানের অভাব, পাবলিক পরীক্ষা ও চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস এবং এ থেকে বেরিয়ে আসার দিশাও পাওয়া যাবে তার সাক্ষাৎকারে।
বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়গুলোর সেরা শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমেছেন মেধার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে। কোটার কারণে যেন যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত না হয় সেদিকে তাগিদ দেন এ শিক্ষাবিদ। তিনি মনে করেন বড়জোড় ১০ শতাংশ কোটা রাখা যেতে পারে। এছাড়া তিনি মনে করেন গড় আয়ু বাড়ায় চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো যেতে পারে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন একুশে টিভি অনলাইন প্রতিবেদক তবিবুর রহমান।
একুশে টিভি অনলাইন: বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?
এ কে আজাদ চৌধুরী : শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন দরকার আছে। কিন্তু আমূল পরিবর্তন দরকার আছে কিনা সেটা আমি বলতে পারবো না। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা সনদ নির্ভর হয়ে পড়েছে। লেখাপড়া শেষে সনদ পেলেই শিক্ষার্থী মনে করে বড় ধরনের শিক্ষিত হয়ে পড়ছে। এমনকি পরীক্ষাগুলোও সেই পদ্ধতিতেই নেওয়া হয়। পড়ানোও হয় সেই পদ্ধিতেই। এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সনদ বিক্রি করছে এমনটা না বললেও তারা যে সদনের অপব্যবহার হচ্ছে এটা বলতে পারি। হাতেগোনা কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞানভিক্তিক সমাজ গড়তে যে শিক্ষার প্রয়োজন তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তবে এ কথাও মানতে হবে যে, শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে। সংখ্যার বিবেচনায় দেশের সাক্ষরতার হার বেড়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যদি শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে পারি তাহলে আমাদের দেশের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো কোনো দেশ থাকবে না।
গ্রাম-গঞ্জে শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থী কি শিখছে? শিক্ষকরা কি শেখাচ্ছে? মানসম্মত শিক্ষাটা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। এই জায়গাটায় আমাদের একটু ফাঁক রয়ে গেছে। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে গোটা শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন আনা দরকার। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বই পড়ে পরীক্ষায় পাশ করার জন্য। পরীক্ষায় ভালোভাবে লিখতে পারলে পাস করবে। আমার মনে হয় পাঠ্যসূচি বড় করে শিক্ষার্থীদের বোঝা না বাড়িয়ে মৌলিক বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া ব্যবস্থা করা উচিত। যেমন বাংলা গণিত ইতিহাস বিজ্ঞানের কিছু বিষয়। এভাবে এইচএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করেই। বাজারে চাকরির চাহিদার আলোকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে হবে। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার সেটা বাস্তবায়নে কাজ করবে। শিক্ষা শুধু পরীক্ষা নির্ভর হবে কেন? ক্লাবে বিভিন্ন কাজের উপরে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা নির্ধারণ করতে হবে। কারণ ছাত্র-ছাত্রীরা বই পড়ে শুধু পরীক্ষায় পাশ করার জন্য, শিক্ষা নিজের জীবনে গ্রহণ করার জন্য নয়।
একুশে টিভি অনলাইন: অনেকের অভিমত শিক্ষা ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে অনেকটাই সনদনির্ভর। দেশপ্রেম নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ প্রচুর ঘাটতি রয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। এগুলো চর্চার অভাবে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী দেশের সম্পদ হওয়ার পরিবর্তে অভিশাপে পরিণত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে কিভাবে উত্তরণ ঘটনো যায়?
এ কে আজাদ চৌধুরী: শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে এটা বলবো না। তবে অনেকটাই ব্যাধাগ্রস্থ হচ্ছে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের নীতি নৈতিকতা মূলবোধ শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে না। মূলবোধ সংকটের কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। মূলবোধ সংকটের কারণে সামাজে দুর্নীতি অনিয়ম বেড়ে যাচ্ছে। আজ দেশের ব্যাংকের হাজার হাজার দুর্নীতির খরব পত্রপত্রিকায় আসছে। এর মূল কারণ হলো দুর্নীতি। নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা পরিবার ও স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পাঠবইয়ের কিছু অংশ নৈতিকতার বিষয় সংশ্লিষ্ট করলেই হবে না। বিভিন্ন ধর্মীয় গুরুদের জীবনী পাঠ বয়ে সংযুক্ত করতে হবে। যাতে কথা ছড়ে গল্পের ছড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিকতা শিক্ষা নিতে পারে। সমাজ কি জিনিস। সমাজ কি চাই এটা আমাদের শিক্ষা দিতে হবে পাঠবইয়ের মাধ্যমে।শিক্ষা দিতে হবে ভাল শিক্ষকের মাধ্যামে নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়া হবে। সমাজ ব্যবস্থা যদি অনৈতিকতা দিয়ে পরিপূর্ণ থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে কি শিখবে? এজন্য আগে সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।
একুশে টিভি অনলাইন : সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটার সংস্কারে ভূক্তভোগীরা দাবি জানিয়ে আসছেন, বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
এ কে আজাদ চৌধুরী: কোটা ব্যবস্থা একদম থাকবে না, এমনটা নয়। সর্বসাকুল্যে ১০ শতাংশ কোটা রাখা যেতে পারে। এগুলো যেমন- শারীরিক প্রতিবন্ধী, উপজাতি, নারী এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য রাখতে হবে। কোটার জন্য যোগ্য ও মেধাবীরা কোনোভাবেই যেন বঞ্চিত না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মেধাবী ও যোগ্যতাসম্মত লোক বঞ্চিত হলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন : কী কারণে বারবার প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটছে, এটা থেকে উত্তরণের উপায় কি হতে পারে?
এ কে আজাদ চৌধুরী: প্রশ্নফাঁসের সঠিক কারণ জাতি এখনও জানতে পারেনি। প্রশ্ন যারা প্রণয়ন করছে বা যেখান থেকে ছাপ হয় সেখান থেকেই পশ্নফাঁস হতে পারে। অনেকেই বলে ৫০ বছর আগে প্রশ্নফাঁস ছিলো, এখনও আছে। এমন বলা উচিত নয়। ৫০ বছর আগের সময় আর এসময় এক নয়। এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। যেকোনো মূল্যে প্রশ্নফাঁস রোধ করা দরকার। এটা শিক্ষার্থীদের মেধাকে অবমূল্যায়ন করে। হতাশ করে, নিরাশ করে, জাতির মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে। যে কারণে এটাকে রোধ করতেই হবে। সঙ্গে সঙ্গে এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। একইসঙ্গে পরীক্ষা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা যেতে পারে। সরকার ওপেন বুক পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছে। আমার মনে হয় পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে আনা যেতে পারে।
একুশে টিভি অনলাইন: আমাদের দেশে কোচিংয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। বাণিজ্য থেকে বেরিয়ে শিক্ষা কিভাবে নিরেট সেবায় রূপান্তর করা যায়।
এ কে আজাদ চৌধুরী: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীয় সময় কিন্তু বিতর্ক ছিলো শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে। প্রতিষ্ঠা করা ও দেশের শিক্ষার মান নিশ্চিত করার জন্য। আমাদের দেশে অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মালিক ব্যবসায়ী। যে কারণে তাদের শিক্ষা এখন বাণিজ্য হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হলে আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। এছাড়া আইন করে এই বাণিজ্য বন্ধ করা যেতে পারে। যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে না তাদের ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া ভালো।
একুশে টিভি অনলাইন : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ আন্দোলন করছে। এটি কতটা যৌক্তিক বলে মনে করেন?
এ কে আজাদ চৌধুরী: দেশের মানুষের গড় আয়ু যেহেতু বাড়ছে সেহেতু সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা বাড়ানো উচিত। চাকরিতে প্রবেশের সীমা যেমন বৃদ্ধি করতে হবে সেই সঙ্গে অবসর নেওয়ার সময়ও বাড়ানো উচিত।
একুশে টিভি অনলাইন: বাংলাদেশে ডোমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডে (জনসংখ্যার বোনাসকালে) প্রবেশ করছে। এ বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম জনসংখ্যার কর্মসংস্থান আমরা কিভাবে নিশ্চিত করতে পারি। এছাড়া প্রতিবছর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা শেষ করে ২২ লাখ শিক্ষার্থী বের হলেও তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারছি না। এর কারণ কি?
এ কে আজাদ চৌধুরী: ডোমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (জনসংখ্যার বোনাসকালে) বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় এসেছে। এ সুযোগ যে দেশ সঠিকভাবে কাজ লাগতে পারছে তারা সফলতা অর্জন করছে। তাদের দেশে অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। ডোমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজ লাগিয়ে জাপান-সিঙ্গাপুরসব পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করছে। আমাদের সেই সুযোগটা এসেছে ২০১৪ সালে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ৮ কোটি মানুষ বর্তমান কর্মক্ষম। এছাড়া প্রতিবছর পড়ালেখা শেষ করে ২২ লাখ তরুণ চাকরি বাজারের জন্য বের হচ্ছে। এই বিপুল সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাজারমুখী করে গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু এখন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বাজারমুখী থাকার কারণে এ সুযোগটা পুরোপুরিভাবে কাজ লাগাতে পারছি না। তাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাজারমুখী করে গড়ে তুলতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা শেষ করে বসে না থাকে। নিজেরা নিজেদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারে। এজন্য তথ্য-প্রযুক্তি, ব্যবসা, কারিগরি শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাজারমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এগুলো সরকারিভাবে হতে পারে আবার বেসরকারিভাবেও হতে পারে। যে সব বিষয় পড়লে শিক্ষার্থীদের চাকরি পেতে সহায়ক হবে এভাবে বিষয়ে পাঠ্য বইয়ের সংযুক্ত করতে হবে।
‘‘অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। ১৯৪৬ সালে ২ অক্টোবর ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেন। বড় স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাণরসায়ন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে ১৯৬৭ সালে বিএসসি এবং ১৯৬৮ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৬ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিস্ববিদ্যালয় থেকে ঔষধবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পোস্ট গ্রাজুয়েশন করেন। ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি ফার্মেসি অনুষদের ডীনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন। নয়াদিল্লিভিত্তিক সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।’’