ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২০ ১৪৩১

ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট সারকোজি আটক

প্রকাশিত : ০৬:৪৫ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৩২ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার

ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে পুলিশ আটক করেছে। মঙ্গলবার সকালে প্যারিসের নান্টাররে পুলিশ স্টেশনে সারকোজিকে তার বাসা থেকে ডেকে নেয়া হয়। সারকোজির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লিবিয়ার প্রয়াত শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অর্থ নিয়েছিলেন।

জানা যায়, আটকের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমে নানতেরিতে একটি পুলিশ স্টেশনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ২০১২ সালে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য লিবিয়ার স্বৈরশাসক গাদ্দাফির কাছে সারকোজি পাঁচ কোটি ডলার অর্থ নিয়েছিলেন এমন অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাকে আটক করা হয়েছে। এর আগে,  ২০১৪ সালেও তাকে ক্ষমতায় থাকাকালে প্রভাব খাটানোর অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল।

ফ্রান্সের বর্তমান রাজনীতিতে খুব একটা সক্রিয় নন নিকোলাস সারকোজি। ফ্রান্সের ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠিয়েছেন লেবাননের বংশোদ্ভূত এক ফরাসি ব্যবসায়ী জিয়াদ তাকিএদ্দিনে ও গাদ্দাফি সরকারের সাবেক কর্মকর্তারা। বলা হচ্ছে, ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন জিততে সারকোজি বড় অংকের অর্থ সহায়তা পেয়েছিলেন গাদ্দাফির কাছ থেকে। সারকোজি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অর্থের অংকটা প্রকাশ করা না হলেও ২০১২ সালে অনুসন্ধানকারী অনলাইন পোর্টাল মিডিয়াপার্ট বলছে ৫০ মিলিয়ন ইউরো গাদ্দাফির কাছ থেকে পেয়েছিলেন সারকোজি। তবে সারকোজি ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট মনোনয়ম পেতে অন্য প্রার্থীদের তুলনার বেশি খরচ করেছিলেন। সেই প্রচার ছিল ব্যয়বহুল।

২৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার তিনি নির্বাচনি প্রচারে খরচ করে ছিলেন। এমন অভিযোগ ফ্রান্সের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের। এক্ষেত্রে ব্যাগমলীণ নামের একটি ফরাসি প্রাইভেট ফার্মকে ব্যবহার করা হয়। ওই কোম্পানির নামে মিথ্যা বিলের মাধ্যমে অর্থ খরচ করা হয়। 

২০১২ সালে সমাজতান্ত্রিক পার্টির নেতা ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের কাছে পরাজিত হয়ে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে পতন ঘটে সারকোজির। ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সারকোজি আবার উঠে দাড়াতে চান। তবে প্রথম দফার ভোটেই তিনি বাদ পড়েন। 

আরকে//এসি