ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ১১ ১৪৩১

মাহমুদউল্লাহদের হারিয়ে ফাইনালের পথে তামিমরা

প্রকাশিত : ১১:০৪ এএম, ২১ মার্চ ২০১৮ বুধবার

জাতীয় দলের দুই সতীর্থ তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ দাঁড়ালেন মুখোমুখি। দুজনের লড়াইয়ে জিতলেন বাঁহাতি ওপেনার। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্লে অফে মাহমুদউল্লাহর কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসকে ১ রানে হারিয়েছে তামিমের পেশাওয়ার জালমি।

মঙ্গলবারের এই ম্যাচ জিতে ফাইনালের অনেকটাই কাছাকাছি চলে গিয়েছে তামিমের দল।

জয়ের জন্য শেষ বলে কোয়েটার দরকার ছিল ৩ রান। ২ রান নিতে পারলেই ম্যাচ গড়াতো সুপার ওভারে। আর সেই চেষ্টাই করেছিলেন আনোয়ার আলী ও মীর হামজা। কিন্তু ১ রান নেওয়ার পর হামজা রান আউট হয়ে যান। আর এতেই নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতে নেয় পেশাওয়ার।

লাহোরে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারের শেষ বলে অলআউট হয়ে যাওয়ার সময় ১৫৭ রান জমা করে পেশোয়ার জালমি। তামিমের ব্যাট থেকে ২৯ বলে আসে ২৭ রান। বাকিদের মধ্যে হাফিজ ২৫, ওয়াহাব ১৫ ও লিয়াম ডসন করেন ৬২ রান।

জবাবে কোয়েটা ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৫৬ রান করে। শেষ বলে ৩ রান দরকার ছিল দলটির। ব্যাটে ছিলেন হাসান আলি। ডসনের থ্রোতে দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যান হামজা রানআউটে পড়লে এক রান দূরেই আটকে যায় কোয়েটা।

প্লে অফের এই জয়ে দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচে তামিমরা মুখোমুখি হবে করাচি কিংসের। আগামীকাল বুধবারের এই ম্যাচের জয়ী দল শিরোপা জেতার লড়াইয়ে মাঠে নামবে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে।

শ্রীলঙ্কার নিদাহাস ট্রফি শেষ করে সরাসরি লাহোরে উড়ে গেছেন দুজনই। মাহমুদউল্লাহ শুরুটা করেছেন দুর্দান্ত। বল হাতে নিয়েই উইকেট পেয়েছেন কোয়েটার এই অলরাউন্ডার। বোল্ড করে ফিরিয়েছেন বিধ্বংসী হয়ে ওঠা মোহাম্মদ হাফিজকে (১৪ বলে ২৫)। ২ ওভারে ২০ রান খরচায় তার শিকার ১ উইকেট। আর ব্যাট হাতে মাহমুদউল্লাহ ২০ বলে করেন ১৯ রান।

তামিমের শুরুটাও হয়েছিল বিধ্বংসী রূপে। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ধার কমে পেশোয়ার ওপেনারের ব্যাটিংয়ের। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ২৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তামিম। মোহাম্মদ নওয়াজের বলে টম কোহলের-চ্যাডমোর হাতে ধরা পড়েন তিনি।

তামিমের দলের আরও ম্যাচ থাকলেও এবারের আসর শেষ মাহমুদউল্লাহর।

সূত্র: ক্রিকইনফো

একে// এআর