ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

যক্ষায় বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ ৩০ দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১২:১৭ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

দেশে যক্ষা চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য অাশাব্যঞ্জক হলেও ডায়াগনসিস সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষা বা এমডিঅার নিয়ন্ত্রণ এখনো বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। অানুমানিক এখনো এ ধরনের রোগীদের ৮০ শতাংশই শনাক্তের বাইরে থাকছে। অার সব ধরনের যক্ষায় চিকিৎসার অাওতার বহির্ভুত থাকছে ৩৩ শতাংশ রোগী। তবে শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও জীবানুযুক্ত ফুসফুসে যক্ষার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশ প্রায়। তবে যক্ষায় বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ ৩০ দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ।

অাজ বৃহষ্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অানুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও ব্র্যাক যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলের অায়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট ডা. মো. অাবুল খায়ের বাশার। কর্মসূচি সংক্রান্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মেডিকেল অফিসার ড. নাজিস অারেফিন সাকি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডা. অাহমেদুল হাসান খান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এমডিঅার রোগী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, যে সংখ্যক জিন এক্সপার্ট মেশিন থাকার কথা তা নেই। তাছাড়া সচেতনতার অভাব ও চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে অনেক রোগীর পক্ষে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে এর সফলতা তুলনামূলক কম।

সংবাদ সম্মেলনে অারও জানানো হয়, জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে এনটিপির মাধ্যমে দেশে দুই লাখ ৪৪ হাজার ২০১ জন যক্ষা রোগীকে শনাক্ত ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ১৫ বছরের কম বয়সী যক্ষা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ১৮৯ জন। দেশে বর্তমানে এক্সটেনসিভলি রোগীর সংখ্যা ১২ জন।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে প্রতি বছর প্রতি লাখে যক্ষায় অাক্রান্ত হচ্ছে ২২১ জন। মৃত্যু হয় ৪০ জনের।

অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম বলেন, দেশে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে যক্ষা রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের ক্ষেত্রে যে সাফল্য তা জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সাফল্য। এই কর্মসূচির অাওতায় রোগ নির্ণয়ের হার প্রতি লাখ জনসংখ্যায় ৭৭ জন এবং অারোগ্যের হার ৯৫ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এতো সাফল্যের পরেও বিশ্বে যক্ষার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ ঝুঁকি মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

এএ/এসএইচ/