দেশের প্রথম রোবটিক্স প্রতিযোগিটায় নটরডেম
প্রকাশিত : ১১:১১ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
দেশের কলেজগুলোকে নিয়ে আয়োজিত প্রথম রোবটিক্স প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে ঢাকা নটরডেম কলেজ। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১১টি কলেজের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে নটরডেম।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাড্ডার নতুন ক্যাম্পাসে আয়োজিত হয় এ প্রতিযোগিতা। গতকাল থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতার আজ ছিল সমাপনী দিন।
জাপানের এড্যুকেশন টেকনোলোজি কোম্পানি ভেনচুরাস লিমিটেড, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
প্রতিযোগিতার শেষ দিনে বেলা ১০টা থেকে শুরু হয় মূল প্রতিযোগিতা এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন ।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোফিজুর রহমান এবং ভিলিং গ্রুপ জাপানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাকামুরা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অরগানাইজেশন (জেইটিআরও) এর বাংলাদেশ প্রধান ডাইসুকে আরাই এবং ডাটা সফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহাবুব আজম।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “তোমারা পৃথিবীর যে কোন প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে পারবে। তোমরা পারবে না এমন কোন কাজ পৃথিবীতে নাই। তাই নিজেদের প্রতি আস্থা রাখো। আমার বিশ্বাস আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা একদিন রোবট তৈরি করবে”।
“ডিজিটাল বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিতে অনেক উন্নতি করছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়ার রফতানি করে”।
এসময় মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যখন কোন নতুন প্রযুক্তি আসে তখন তার ভালো এবং খারাপ দিক দুটোই আসে। তাই তোমাদের প্রযুক্তি ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। ‘
এর আগে বেলা ১১টায় ইউআইইউ এর মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী নারী নিশাত মজুমদার। তিনি তার বক্তব্যে ভয় ও বাধা কাটিয়ে কীভাবে সাফল্যের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় তিনি এভারেস্ট বিজয়ীয়ের সময়ে তোলা কিছু ছবি এবং কীভাবে এভারেস্ট চুড়ায় পৌঁছান তা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তুলে ধরে অনুপ্রাণিত করেন।
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হয় মূল প্রতিযোগিতার আয়োজন। প্রতিযোগিতায় ১১টি কলেজ থেকে ৫ সদস্যের একটি করে দল লাইন ট্রেসিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে নটরডেম কলেজ।
এছাড়াও প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ এবং তৃতীয় হয়েছে গভমেন্ট সাইয়েন্স কলেজ। এরপর দুপুর আড়ইটায় শুরু হয় জাপানের সংগীত দল বাজিনা বিট- এর সংগীত পরিবেশনা।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলকে পুরস্কার প্রদান করে অধ্যাপক ড. চৌধুরী মফিজুর রহমান এবং মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিন আনওয়ার।
প্রতিযোগিতার রিওয়ার্ড পার্টনার হিসেবে ছিল গ্রামীণফোন,মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল আরটিভি এবং ডেইলি স্টার এবং টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে ছিলো ডাটা সফট বাংলাদেশ ও মনস্টার ল্যাব জাপান।
//এস এইচ এস//