মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতায় অনিশ্চিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন
প্রকাশিত : ১২:০১ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার
হঠ্যাৎ করে মিয়ানমারে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সেনাবাহিনীর চাপে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এনএলডির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অপসারণ, পদত্যাগে বাধ্য করাসহ নানা কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট তিন চিয়াও বুধবার হঠাৎ করে পদত্যাগ করেছেন। এর পেছনেও সেনাবাহিনীর চাপ রয়েছে বলে জানা গেছে। চিয়াও মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই সন্দেহ করছেন মিয়ানমার এখন আর গণতন্ত্রের দিকে নয় বরং আরো সামরিকীকরণের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। জন ক্যাবোট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক প্রফেসর ব্রিগেট ওয়েলস মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, ‘দেশটি এখন আর অধিকতর গণতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছে না। এক্ষেত্রে মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতায় সেনাবাহিনীর ক্রমাগত হস্তক্ষেপ, জাতিগত নিধন ও রোহিঙ্গা ইস্যুর মতো বিষয়ে তাদের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রফেসর ওয়েলস।
ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এনএলডিতে এ বাড়তি চাপের কারণ হিসেবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা বিরোধীতা বলে জানা গেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। এ নিয়ে এনএলডির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড মতবিরোধ চলছে। এসব কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আদৌ বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
টিআর/এসএইচ/