ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

শিশুমৃত্যু রোধে পথ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার

ডায়রিয়া ও অন্যান্য পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে লন্ডনের ইকোনমিস্ট পত্রিকা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের নিচের বহু শিশু মারা যেত। তখন বিশ্বে গড়ে যত শিশু মারা যেত, বাংলাদেশে এই হার ছিল তার চেয়ে ৫৪ ভাগ বেশি। তবে এখন আর সেই দিন নেই। এখন বিশ্বে গড়ে যত শিশু মারা যায়, তার চেয়ে ১৬ ভাগ কম মারা যায় এদেশে। বাংলাদেশে ডায়রিয়া ও অন্যান্য পেটের পীড়ায় শিশুমৃত্যুর হার শতকরা ৯০ ভাগ কমেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শিশুদের জীবন বাঁচাতে সস্তা ও সহজ সমাধান বের করেছে বাংলাদেশ। সুদূরপ্রসারী টিকাদান কর্মসূচি ও অব্যাহত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু রোধে সহায়ক হয়েছে। ভারতের জনগণের মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের দ্বিগুণ হলেও দেশটির অনেক মানুষ এখনও উন্মুক্ত স্থানেই মল-মূত্র ত্যাগ করেন। ভারতেও পায়খানা তৈরিতে অনেক টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশে সাফল্য আসার কারণ হচ্ছে- এখানে সরকার ও দাতব্য সংস্থাগুলো খোলা জায়গায় মল-মূত্র ত্যাগকে একটি খারাপ কাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পেটের পীড়া তথা কলেরা ও আমাশয়ের ফলে প্রতিবছর অন্তত ৫ লাখ শিশু মারা যায়। বারবার সংক্রমণের ফলে শিশুরা দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে অন্যান্য রোগ যেমন নিউমোনিয়াও সহজেই কাবু করে ফেলে। ডায়রিয়ার ফলে শিশুদের আকারও বদলে যায়। সাব সাহারা আফ্রিকার চেয়ে ভারতের শিশুরা যে আকারে ছোট, তার একটি কারণ তারা প্রায়ই রোগে আক্রান্ত হয়। এই সমস্যা মোকাবেলায় দারুণ অগ্রগতি সাধন করেছে বাংলাদেশ।

এমজে/