তরমুজের কদর বাড়লেও দামে অস্বস্তি
প্রকাশিত : ০৪:২৮ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার
গরমের এই হাঁসফাসে মৌসুমি ফল রসালো তরমুজ কার না পছন্দ। গরমে এক ফালি তরমুজ প্রাণে এনে দিতে পারে প্রশান্তি-এনে দিতে পারে সতেজতা। শুধু তাই নয়, তরমুজের শরবতও বেশ জনপ্রিয়। আর সেটা যদি হয় ফ্রিজ থেকে বের করা ঠাণ্ডা তরমুজের শরবত তাহলেতো কথাই নেই। আর সেই প্রশান্তির তরমুজ এখন রাজধানীর বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে দাম একটু বেশি হওয়ায় স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের।
রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারগুলোতে সাদা (বাংলালিঙ্ক) ও কালো (হরমুজ)-দুই প্রকারের তরমুজ বেশি বিক্রি হতে দেখা গেছে। কালো তরমুজগুলো আকারে ছোট হওয়ায় দাম একটু কম। আর সাদা তরমুজগুলোর দাম সবচেয়ে বেশি। কারওয়ান বাজারে প্রতিপিচ ১০ কেজি ওজনের সাদা তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০০টাকা, ৭ কেজি ওজনের সাদা তরমুজ ৫০০টাকা, আর ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। আর কালো জাতীয় (হরমুজ) ৩ থেকে ৪ কেজি ওজনের বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
মৌসুমের নতুন ফল- তরমুজ দামে অস্বস্তি আসলেও শখের বশে কিনছেন অনেকেই। কেউবা আবার বাসার ছোট্ট সোনামনির আবদার রক্ষার জন্য দামের দিকে খেয়াল না করেই বেশি দাম দিয়ে কিনছেন রসালো এ ফলটি। অনেকে আবার দাম বেড়ে যাওযার ভয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে বাজার থেকে এ তরমুজ কিনে সংরক্ষণ করে রাখছেন। বাজারে নতুন হওয়ায় এর দাম একটু বেশি বলেই স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ফল বিক্রেতা মো. ফিরোজ বলেন, বাজারে তরমুজের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। তবে তরমুজের মৌসুমের শুরু হলে, দাম কমে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন সুনামগঞ্জ থেকে আনা তরমুজগুলো মিষ্টি বেশি হওয়ায় এর চাহিদাও অনেক বেশি। তাই দামের ওপর এর প্রভাব পড়েছে। তবে গত দুই সপ্তাহের তুলনায় দাম অনেকটাই কমেছে বলে যোগ করেন তিনি। এদিকে আগামী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে তরমুজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাজারের অন্য ফল বিক্রেতা আবু সিদ্দিক বলেন, আমি গত ১০ বছর ধরে এখানে ফল বিক্রির ব্যবসা করছি। এবারের মতো এতো বেশি দাম কোন বারই দেখি নাই। আমার দোকানে বরিশালের ভোলা থেকে আনা তরমুজ উঠিয়েছি। আমি ১০০টি তরমুজ পাইকারি দরে কিনেছি কারওয়ান বাজার আড়ৎ থেকে। তরমুজের দাম ১১ হাজার টাকা পড়লেও আনুষঙ্গিক খরচসহ প্রায় সাড়ে ১২ টাকা পড়েছে। দাম বেশি দিয়ে কিনেছি তাই বেশি দামেই বিক্রি করছি। একশ তরমুজের মধ্যে দুপর হতে না হতেই ৫০টি বিক্রি হয়ে গেছে।
বাজারে তরমুজ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবি হাসমত রাব্বি বলেন, কিছুই খাওয়ার নেই, সবকিছুর দাম বেশি। একটি তরমুজের দাম ২৫০ টাকা হলে, কিভাবে তরমুজ কিনে খাব?
আরকে//