ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ

আফরিনের পর এবার মানবিজ ও ইদলিবে হামলা চালাবে তুরস্ক

প্রকাশিত : ১২:৫৫ পিএম, ২৪ মার্চ ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০১:০৯ পিএম, ২৪ মার্চ ২০১৮ শনিবার

সিরিয়ার আফরিনে সফলতা পাওয়ার পর দেশটি থেকে পিছু হঠবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। শুধু তাই নয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার মানবিজসহ অন্যান্য অঞ্চলেও নিজেদের উপস্থিতি বাড়াবে বলে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে দেশটি।

গতকাল নিজ দল জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির এক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে এরদোগান বলেন, ‘গতকাল রাতে আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। এ ছাড়া দুইদিন আগে এই বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমি তাদেরকে স্পষ্ট করে বলেছি যে, আমরা সিরিয়া থেকে পিছু হঠছি না, আমরা ওই দেশের পার্শ্ববর্তী দেশ, তাই আমরাই সবচেয়ে বেশি ভূক্তভোগী।’

উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ এরদোগান ও ট্রাম্পের মধ্যে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে দৃঢ় বন্ধন অটুট রাখার ব্যাপারে একমত হয়েছেন দুই নেতাই। এদিকে কুর্দী যোদ্ধা ও ওয়াইজিদি যোদ্ধাদের পরোক্ষ সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ওই দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধে ইতোমধ্যে সফলতা পেয়েছে তুরস্ক। আফরিন থেকে কুর্দীদের তাড়িয়ে দিয়ে ইতোমধ্যে সিরিয়ার আফরিন দখল করেছে তুরস্ক।

এদিকে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফ্রি সিরিয়ান আর্মিকে সঙ্গে নিয়ে তুর্কী বাহিনী ওয়াইজিদি ও কুর্দী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে। প্রথমে আফরিন দখল করলেও, এবার ইদলিব ও মানবিজে আক্রমণ চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তুরস্ক।

এদিকে মার্কিন সেনাদের সহায়তায় মানবিজে দখলে রেখেছে কুর্দী বাহিনী। তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই মানবিজ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হোক বা না হোক, ইদলিব ও মানবিজে হামলা চালানোর ব্যাপারে দৃঢ়মত পোষণ করেন এরদোগান।

এদিকে তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রকে বারবার মানবিজ ছাড়তে আহ্বান জানিয়ে আসলেও দেশটি বলছে, এখনই মানবিজ ছাড়তে আগ্রহী নয় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, তুরস্ক বারবার আহ্বান জানিয়ে আসলেও আমরা এলাকাটি ছাড়তে সম্মত হবো না। তবে তুরস্কের সঙ্গে সব ধরণের আলোচনা চলবে বলেও ঘোষণা দেন ওই কর্মকর্তা।

সূত্র: ডেইলি নিউজ
এমজে/