ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বাবার হত্যার দিনই রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিই : রাহুল

প্রকাশিত : ০৩:৫৭ পিএম, ২৪ মার্চ ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৩:৫৮ পিএম, ২৪ মার্চ ২০১৮ শনিবার

বাবা মারা যাওয়া সত্ত্বেও রাজনীতিতে কেনো এসেছেন- এই প্রশ্নটা অনেকের মুখেই শুনেছেন রাহুল গান্ধী। এদিনও পড়ুয়াদের মুখোমুখি হয়ে এই প্রশ্নের উত্তরে রাহুল জানালেন, তার বাবার হত্যাকাণ্ড সত্ত্বেও তিনি রাজনীতিতে এসেছেন, কারণ তার বাবা মারা যাওয়ার দিনই তিনি ঠিক করেছিলেন তিনি রাজনীতিতে আসবেন।

কর্ণাটকের মাইসোরে নির্বাচনী প্রচারে এসে পড়ুয়াদের মুখোমুখি হয়ে অকটপটেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল জানালেন, তাঁর মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সেই কঠিন সময়ের কথা। রাজীব গান্ধী যেদিন আততায়ীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন, সেদিনই তাঁর মন থেকে সব ভয় উধাও হয়ে গিয়েছিল। সেদিনই তিনি একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে তিনিও বাবার মতো রাজনীতিতেই আসবেন।

রাহুল বলেন, ওই সময় আমার কাছে বিকল্পও ছিল। কিন্তু বিকল্প থাকা সত্ত্বেও আমি রাজনীতিকে বেছে নিয়েছি। এটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি বিশ্বাস করি কংগ্রেস বহুমুখী ভাবধারায় বিশ্বাসী। তাই দাদি-বাবার অসম্পূর্ণ কাজ আমাকেই শেষ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, রাজীব গান্ধীকে পরিস্থিতি বাধ্য করেছিল রাজনীতিতে আসার জন্য। মা ইন্দিরার মৃত্যুর পর তাঁর কাছে উপায় ছিল না, মায়ের অসম্পূর্ণ কাজ, দেশ সুরক্ষার কাজ ফেলে তাঁর জীবনের লক্ষ্যে ছুটে যাওয়া। তেমনই রাহুলও পরিস্থিতি মেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজনীতিতে আসার। তিনি মনে করেছেন কংগ্রেসের বহুমুখী ভাবধারাকে দেশের সামনে তুলে ধরতে হবে। আর সেই দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে।

এর আগে সিঙ্গাপুরে আইআইএমের প্রাক্তন ছাত্রদের সম্মেলন উপস্থিত হয়ে রাহুল আর এক অন্য অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছিলেন। বাবার মৃত্যুর ২৭ বছর পর রাহুল গান্ধী তাঁর আশঙ্কার কথা স্বীকার করেছিলেন ছাত্র-সম্মেলনে। বলেছিলেন, ‘আমি বা আমার বোন প্রিয়াঙ্কা দুজনেই জানতাম, বাবাকে একদিন হত্যা করা হবে। এই আশঙ্কা আমাদের মধ্যে প্রথম থেকেই ছিল। বাবা রাজনীতিতে আসার পর পর থেকেই আমাদের এই আশঙ্কা গ্রাস করেছিল।’

রাহুল বলেন, ‘আমার দাদি (ইন্দিরা গান্ধী) আমাকে বলেছিলেন যে কোনওদিন তাঁর মৃত্যু ঘটতে পারে। তারপর তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তারপর বাবা যখন রাজনীতিতে এল, তখন আমি বাবাকে বলেছিলাম, বাবা রাজনীতিতে এলে তোমাকেও দাদির মতো মরতে হবে। আমি তখন চাইনি বাবা রাজনীতিতে আসুক।’ তবে এদিন তাঁর কথায় স্পষ্ট হল, বাবার মৃত্যুর পর মনকে পাথর করে তিনিও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে।

সূত্র: ওয়ানইন্ডিয়া

একে// এআর