চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ০৫:১৬ পিএম, ২৪ মার্চ ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৫:৩৪ পিএম, ২৪ মার্চ ২০১৮ শনিবার
দেশে যক্ষ্মা নির্মূলে সাফল্য আসলেও চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ’ধরণের যক্ষ্মার ৮০ শতাংশই শনাক্তের বাইরে থাকছে। আর সব ধরণের যক্ষ্মায় চিকিৎসার বাইরে রয়েছে ৩৩ শতাংশ রোগী। এদিকে, গ্রামের তুলনায় রাজধানীতে বাড়ছে যক্ষ্মার প্রকোপ। এমন বাস্তবতায় সারাদেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস।
যক্ষ্মা, বিশ্বব্যাপী অন্যতম প্রধান প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ, যা প্রতিবছর কেড়ে নেয় প্রায় ১৭ লাখ মানুষের জীবন। বিশ্বের সকল মৃত্যুর নবম প্রধান কারণ যক্ষ্মা। এই রোগ মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক জীবানুর মাধ্যমে ছড়ায়। পরে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে ঢুকে শরীরের বিভিন্ন অংশে চলে যায়।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি- এনটিপি’র তথ্য অনুযায়ি, ২০১৭ সালে দেশে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২শ’ ১ জন রোগীকে শনাক্ত ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। শিশু যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ১শ’ ৮৯ জন। তবে, বিভিন্ন কারণে রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে যক্ষ্মার প্রকোপ।
গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট ২০১৭ অনুযায়ি, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রতি লাখে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে ২শ’ ২১ জন, মৃত্যু হয় ৪০ জনের। এনটিপির মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের হার প্রতি এক লাখে ৭৭ জন এবং আরোগ্যের হার ৯৫ শতাংশ। তবে, রোগ নির্ণয় সংক্রান্ত জটিলতায় ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এ’ ধরণের রোগীদের ৮০ শতাংশই শনাক্তের বাইরে থাকছে। যক্ষ্মার প্রকোপ ও মৃত্যুহার কমাতে কাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যক্ষ্মার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অনত্যম। এই ঝুঁকি মোকাবেলা ও যক্ষ্মামুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।