ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নড়াইল জেলা পরিষদের দোকানঘর ভেঙ্গে ফেলায় মামলা

নড়াইল প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৮:৫৩ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৮:৫৭ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৮ রবিবার

বেআইনি ভাবে নড়াইল জেলা পরিষদের ১২টি দোকানঘর ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগে লোহাগড়া থানায় ছয়জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এমামুল হাসান বাদী হয়ে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার বিষয়টি আজ রোববার সকালে জানাজানি হয়।

মামলায় লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাচ্চুসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ অন্য আসামিদের নাম প্রকাশ করেনি।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদের জায়গায় নির্মিত লোহাগড়া থানা সড়কের দোকানগুলো মসজিদ কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক ভেঙ্গে দিয়ে দখলের চেষ্টা চালায়। এসে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্থ ওষুধ ব্যবসায়ী এস এম জাকির হোসেন ও নাজমা বেগমসহ অন্যরা জানান, নিয়মনীতি মেনে প্রায় ২০ বছর যাবত লোহাগড়া থানা সড়কে জেলা পরিষদের জায়গায় নিজেদের খরচে দোকানঘর তৈরি করে তারা ব্যবসা করে আসছিলেন। এখানে ছয়টি ওষুধের দোকান, ইলেকট্রনিক্স দোকান, দন্ত চিকিৎসা কেন্দ্রসহ ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু বিনা নোটিশে অতর্কিত ভাবে শুক্রবার ভোরে ১২টি দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তারা জানান, লোহাগড়া পৌরসভার লক্ষীপাশার গোলাম মোরশেদ, মনিরুজ্জামান বাচ্চু, সালেক মুন্সী, আরিফ শেখসহ প্রায় ২০ জন অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে তাদের দোকানঘর ভেঙ্গে দেয়। এ সময় দোকান থেকে ওষুধসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। বিলাপ করে বলেন, তারা এখন কোথায় যাবেন, কীভাবে সংসার চালাবেন?  

ক্ষতিগ্রস্থরা আরো জানান, অভিযুক্তরা বিনা নোটিশে তাদের দোকানঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। এখন নিজ স্থানে পুনর্বহালের দাবি জানান তারা। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পুনর্বহালের দাবিতে গতকাল শনিবার দুপুরে লোহাগড়া থানা সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মামলার বিষয়টি স্বীকার করে লোহাগড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আর/এসি