সরকারি ফি জমা দেওয়া যাবে অনলাইনে
প্রকাশিত : ০৯:৪৩ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৮ রবিবার
ঘরে বসেই অনলাইনে পাসপোর্ট, পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন বা উত্তোলন সংক্রান্ত ফি জমা দিতে চালু হলো ই-চালান (ইলেক্ট্রনিক-চালান) পদ্ধতি। এর মাধ্যমে দালালের দৌরাত্ব এবং ভোগান্তি যেমন কমবে, তেমনি সময়মত চালানের অর্থ সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হবে। রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এম এ মান্নান বলেন, কেবলমাত্র তিনটি সংস্থার সেবা দিয়ে ই-চালান পদ্ধতি চালু হলেও আগামী এক বছর অর্থাৎ পরবর্তী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সরকারের অন্যান্য সকল মন্ত্রণালয় বা সংস্থার সরকারি ফি আদায় কিংবা লেনদেনের মাধ্যমে করা যাবে। সরকারি ফি প্রদানের ক্ষেত্রে ই-চালান পদ্ধতি অর্থ ও সময়ের অপচয় হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, অর্থ বিভাগের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মুসলিম চৌধুরী,জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) কমিশনার মো. মতিউর রহমান প্রমুখ।
অর্থ বিভাগের নির্দেশনায় ও তত্ত্ববধানে প্রধানমনত্রীর কার্যালয়েরর একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম থেকে ই-চালান পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা রয়েছে এমন যে কেউ ই-চালানের মাধ্যমে অনলাইনে রাজস্ব জমা দিতে পারবে। তথ্য প্রদানের পর নির্দিষ্ট ফরম, অনলাইনে পূরণ করার পর’ পরিশোধের পদ্ধতি’ অংশ গিয়ে ‘অনলাইন পরিশোধ’ অপশনটি নির্বাচন করে নির্দিষ্ট একাউন্ট থেকে অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে চালানের অর্থ জামা দেওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সরকারি বিভিন্ন সেবার ফি আদায় ও লেনদেনের ক্ষেত্রে চালান ব্যবহৃত হয়। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ব্যাংক অথবা ফটোকপির দোকান থেকে সেবাগ্রহীতার চালন ফরম সংগ্রহ করতে হয়।ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এ চালান কার্যটি সম্পন্ন করতে গিয়ে একজন নাগরিকের অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় হয় এবং যাতায়াতের ভোগান্তি আছে। একইভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৈনিক হিসাব মিলানো,নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অর্থ প্রেরণ এবং দাফতরিক কাজ সম্পন্ন করতে বাড়তি ব্যয় ও মানসিক চাপ তৈরি হয়।
এ ছাড়া সরকারি সেবার ফি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গ্রহণ ও দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় সরকারের কোষাগারে যথাসময়ে সেটি জমা হয় না। চালানের মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে কত টাকা জমা আছে বা লেনদেন চালমান রয়েছে তার কোন সঠিক তথ্য থাকে না। কিন্তু ই-চালান পদ্ধতির মাধ্যমে এসব সমস্যা সহজে দূর হবে ।
অনুষ্ঠানে আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যে বলেন, ই-চালান পদ্ধতি ব্যবহার করে ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে পারে জনগণ। এতে দালালের দৌরাত্ব কমবে। তাই জনগণের কাছে ই-চালানের বিষয়টি নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য প্রচারনা কার্যক্রম জোরদার করার প্রয়োজন রয়েছে। বাসস
আর/টিকে