ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

গ্রাহকদের সাড়ায় সন্তুষ্ট হোন্ডা বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১১:৫৩ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৯:৩৮ পিএম, ২৭ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার

গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘ঢাকা মোটর শো-২০১৮’। মোটর শো’তে নিজেদের নতুন মডেলের বাইক ‘সিবি হরনেট-১৬০ আর’ নিয়ে অংশ নিয়েছিল হোন্ডা বাংলাদেশ। গ্রাহকদের স্বতঃফুর্ত সাড়ায় নিজেদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ঢাকা মোটর শো এর আগেই চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রি-বুকিং নেওয়া শুধু হয় হোন্ডা হরনেট এর। সে সময় থেকেই ১৬৩ সিসি ক্ষমতা সম্পন্ন বাইকটি বাইকারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। মোটর শো’তে আগ্রহী গ্রাহকদের জন্য ‘টেস্ট-ড্রাইভে’র সুযোগ করে দেয় হোন্ডা।

হরনেটের টেস্ট ড্রাইভ দেওয়া বাইকার নাহিদুল ইসলামের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, “আগে হিরো আর হোন্ডা মিলে একসাথে বাংলাদেশে মোটর বাইক বাজারজাত করত। সেসময় থেকেই বাংলাদেশে এই বাইকগুলো জনপ্রিয় হতে থাকে। আমি নিজেও হিরো-হোন্ডা সিবিজেড মডেলের একটি বাইক চালাই। কিন্তু প্রতিষ্ঠান দুইটি আলাদা আলাদাভাবে কাজ করার পর হোন্ডার বাইকগুলো নিয়ে একটু দ্বিধায় ছিলাম। তবে আজ হরনেটের টেস্ট ড্রাইভ দিয়ে দ্বিধা কেটে উঠেছে।এখন ভাবছি আমিও একটা হরনেট বুকিং দেই”।

মোটঅর শো থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, তিন দিনব্যাপী এই মোটর শো’তে হরনেটের টেস্ট ড্রাইভ দিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার আগ্রহী গ্রাহক। এদের মধ্যে প্রথম দিনে প্রায় ৫০০ জন, দ্বিতীয় দিনে ৩০০ জন আর শেষ দিনে প্রায় ৭০০ জন ক্রেতা টেস্ট ড্রাইভে অংশ নেন।

হোণ্ডা বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ্য সহকারি ব্যবস্থাপক (বিপনণ) এবং মেলায় হোণ্ডার প্যাভিলয়নের দায়িত্বে থাকা গিয়াস উদ্দীন সজীব ইটিভি অনলাইনকে বলেন, “প্রি বুকিং এর পর থেকে গ্রাহকদের প্রচুর সাড়া পাচ্ছি আমরা। এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬০০ ইউনিট বাইক আমরা গ্রাহকদের কাছে হস্তান্তর করেছি। এছাড়াও আরও ৫ হাজার বাইক বুকিং হয়ে আছে। আর চাহিদা আছে আরও ১০ হাজার বাইকের। আগামী মে মাসের পর এই চাহিদা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি। আর হোণ্ডার প্রতি গ্রাহকদের আস্থায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ আমরা”।

মোটর শো’তে গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল জানতে চাইলে গিয়াস উদ্দীন বলেন, “মেলায় আমরা হরনেট গ্রাহকদের একটি মিলনমেলার আয়োজন করেছিলাম। এতে সাড়ে তিনশ এরও বেশি গ্রাহক অংশ নেন। গ্রাহকদের এত বড় একটা জমায়েত পুরো মেলা প্রাঙ্গণেই তাক লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও হরনেটের টেস্ট ড্রাইভ দিতে দীর্ঘ লাইন দিয়েও অপেক্ষা করতে দেখা যায় আগ্রহী ক্রেতাদের। আর তিন দিনের মেলায় আমরা অনেক বেশি পরিমাণে হরনেটের বুকিং পেয়েছি। অন্যান্য মডেলের বাইকেও ভাল সাড়া পাচ্ছি। বাইকের পাশাপাশি এক্সেসরিসেও গ্রাহকদের ব্যাপক আগ্রহ ছিল”।

//এস এইচ এস//