ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস(ভিডিও)

প্রকাশিত : ১০:২৬ এএম, ২৬ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:০৯ এএম, ২৬ মার্চ ২০১৮ সোমবার

আজ ২৬শে মার্চ; মহান স্বাধীনতা দিবস। একাত্তরের ভয়াল ২৫ মার্চের কালরাতের ধ্বংসস্তুপ আর লাশের মধ্য থেকে রক্তরাঙা সূর্যোদয়ের পূর্বাভাষ ছিলো এদিন। পশ্চিম পাকিস্তানীদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়ে যান স্বাধীনতার ঘোষণা। সেই বার্তা কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বার বার প্রচার হতে থাকে। শুরু হয় সশস্ত্র সংগ্রাম। ছাত্র-জনতার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন বাঙালি সেনা সদস্যরাও

৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষণের মধ্য দিয়েই নির্ধারণ হয়ে যায় পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভাগ্য।

পরের দিনগুলোতে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী যেমন আলোচনার নামে কালক্ষেপন করতে থাকে, তেমনি বাঙালী জাতি নিতে থাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি।

২৫ মার্চ দিনশেষে মধ্যরাতে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে ঢাকা শহরকে মৃত্যুপুরিতে পরিণত করে। সেই চিত্র আরো স্পষ্ট হয় পরের দিন ২৬ মার্চ সকালে।

শুধু ঢাকাই নয়, পাকিস্তানী বাহিনী চট্টগ্রাম, যশোর সেনানিবাসের বাঙালী সৈন্যদের হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে। হত্যা করা হয় নিরস্ত্র বাঙালীদের। চলে ধ্বংসযজ্ঞ।

তবে, চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে বাঙালী সৈন্যরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অন্যান্য স্থানে ইপিআরের বাঙালী সদস্য এবং ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

দেশের মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেই স্বপ্ন পূরণে কারাগারে যাবার আগে বার্তা রেখে যান বাংলার মুকুটহীন সম্রাট। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার সেই ঘোষণা প্রচার করা হয়।

পাকিস্তানী সৈন্যরা বাঙালীদের সমূলে উচ্ছেদ করতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তবে, বাঙালীরাও গড়ে তোলে প্রতিরোধ।

অন্যদিকে, ইপিআরের অস্ত্রে সজ্জিত বাঙালী সৈন্যরা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সর্বস্তরের মানুষ।

নয় মাসের প্রতিরোধ যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের আত্মদান ও লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বাংলার আকাশে পতপত করে উড়তে থাকে লাল সবুজের পতাকা।