ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

প্রকাশিত : ০৬:১৩ পিএম, ২৬ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৮:০৬ পিএম, ২৬ মার্চ ২০১৮ সোমবার

আজ ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালির দীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনার কাল। স্বাধীনতা দিবস তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার ইতিহাস। দেশের বিভিন্ন স্থান যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।

জয়পুরহাট: স্বাধীনতা দিবস তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার ইতিহাস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। এ উপলক্ষে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা ও সকাল ৬টা ২ মিনিটে শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানের স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জাপা, সিপিবি, বাসদ, জাসদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক - সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

জয়পুরহাট স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল সংবর্ধনা প্রদান করা হয় । পুলিশ, আনসার, বিএনসিসি, স্কাউট, গার্লস ইন স্কাউট, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শিশু-কিশোররা মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ এবং শরীরর্চ্চা প্রদর্শন করেন। কুচকাওয়াজ এবং শরীরর্চ্চায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সংসদ সদস্য এডভোকেট শামসুল আলম দুদু ও জেলা প্রশাসক মো. মোকাম্মেল হক।

লক্ষীপুর: সূর্যোদয়ের সাথে সাথে (৬টা ০১মিনিট) লক্ষীপুর কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গনে ৩১ বার তোপধ্বনি মাধ্যমে দিবসের সূচনা করে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামাল এমপি, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহাজান, পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে শহরের বাগবাড়ীস্থ গণকবরে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাযাত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ উপলক্ষে সকাল ৮টায় জেলা স্টেডিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসক কর্তৃক আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বিভিন্ন বিভাগ সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও ডিসেপ্লে প্রদর্শন। বেলা ১১ টা জেলা প্রশাসক কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবকে সংবর্ধনা প্রদান। ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য এবং উন্নয়ন অগ্রগতি’ বিষয়ে আলোচনা। হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মহিলাদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা, শিশু-কিশোর ও মহিলাদের খেলাধূলা, জেলা স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন।

চুয়াডাঙ্গা: সকাল সাড়ে ৭টায় চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক জিয়্উাদ্দীন আহম্মেদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান। এ অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সালাম ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। এর আগে সকালে চুয়াডাঙ্গা-১আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর তিনি শহীদ স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

নোয়াখালী: জেলা শহর মাইজদীতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ নোয়াখালী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিক মীর মোশাররফ হোসেন মিরন, মেসবাহ্ উল হক মিঠু, সামছুল হাসান মিরন, আবু নাছের মঞ্জু, আকবর হোসেন সোহাগসহ সাংবাদিকবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট, আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, ছাত্রলীগ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জেলা পরিষদ, এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল, নার্সিংট্রেনিং ইনিস্টিটিউটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।

পটুয়াখালী: শহীদদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্মৃতিসৌধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ ও অংগসংগঠন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, প্রেসক্লাব, স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতর এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। পরে আবুল কাশেম স্টেডিয়ামে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীত শেষে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমান। এ সময় পুলিশ সুপার মঈনুল হাসান সহ জেলার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জেলা পুলিশ, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা জাতীয় সংগীত ও কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্দ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে ।

শরীয়তপুর: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসুচী শুরু হয়। এর পর জেলাবাসীর পক্ষ থেকে প্রথমে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে পর্যায়ক্রমে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ ছাড়াও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, গণকবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী, শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রীতি ফুলবল প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

নড়াইল: জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের পÿ থেকে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ ও গণকবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন, গণকবরে পুস্পমাল্য অর্পন, কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান, শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান, বিশেষ মোনাজাত, মহিলাদের সৌখিন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ষ্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহন করেন জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল হক চৌধুরী এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

টাঙ্গাইল: ভোরে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে শহীদ স্মৃতিস্তম্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক মনোজ্ঞ কুচকাওয়াচ ও শরীর চর্চা প্রর্দশন করা হয়।

এতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন। পরে কুচকাওয়াচে জেলা পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমীতে দিনব্যাপী মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।

কুষ্টিয়া: শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক ডিসি কোর্ট চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর‌্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পৌর গোরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

সকাল ৮টায় কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েদের অংশগ্রহনে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান, পুলিশ সুপার এস, এম মেহেদী হাসানসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এসব কর্মসুচীতে উপস্থিত ছিলেন।

সিলেট: সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভোর ৫ টা ৫১ মিনিটে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। শহীদদের স্মরণে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে।

সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধায় ফুলে ফুলে ঢেকে যায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি। একইসঙ্গে শহীদ মিনারে আসা মানুষের মুখে ছিল যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।

বগুড়া: জেলার শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও সালাম গ্রহণ করা হয়। এর আগে জিলা স্কুলে তোপধনি করা হয়। বিকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার খোকনপার্কে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আওয়োজন করা হয়। সকাল সোয়া ৮টায় স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালিসহ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মমতাজ উদ্দিন। এর আগে সকাল ৭টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সকাল ৮টায় সারাদেশের ন্যায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। বগুড়া প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর। বেলা ১২টায় বগুড়া শহরের মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম দুলাল অডিটরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

মাগুরা: সকাল সাড়ে ৬টায় শহরের নোমানী ময়দানে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক অতিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার খান মো. রেজাওয়ান আহম্মেদসহ জেলার মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অপর্ন করেন। পরে শহরে বের করা হয় স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালি। র‌্যালি শেষে সকাল ৮ টায় শহরের আসাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও একই সাথে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউট, স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চ্চা প্রদর্শনী। শরীরচর্চ্চা প্রদর্শী ও কুজকাওয়াজে অংশগ্রহনকারীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

কুড়িগ্রাম: এবারের স্বাধীনতা দিবসে কুড়িগ্রামে ২০ জন মুক্তিযোদ্ধাদ্ধাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এসময় সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন মোছা. সুলতানা পারভীন ও জেলা প্রশাসক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী।

জেলা স্টেডিয়াম মাঠে সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একযোগে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শারীরিক কসরত ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিশু একাডেমীর উদ্যোগে চিত্রাঙ্কণ, আবৃত্তি, কুইজ ও দেশাত্ববোধক গানের প্রতিযোহিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আর/টিতে