রিয়াদে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
প্রকাশিত : ০৯:১৫ পিএম, ২৬ মার্চ ২০১৮ সোমবার
সৌদি আরবের রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে উদযাপিত হল ৪৮তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। স্থানীয় সময় ভোঁর ৫টার দিকে বাংলাদেশের সাথে মিল রেখে শুদ্ধস্বরে জাতীয় সংগীত গেয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রবাস জীবনের নানা ব্যস্ততা সত্ত্বেও স্থানীয় অভিবাসী বাংলাদেশীগণ উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এরপর দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বানী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বক্তৃতার শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল বীর শহীদদের। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সেদিন সারা দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। জাতির পিতার নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রবহানির বিনিময়ে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা।
গোলাম মসীহ বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে দৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে বলে তিনি সকল প্রবাসী নাগরিককে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভুমিকা রাখার আহবান জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রথম ধাপ অতিক্রম করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারবর্গ ও মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আর/টিকে