স্বাধীনতার ঘোষণা ছড়িয়ে যায় মানুষের মুখে মুখে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ০৩:৫২ পিএম, ২৭ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার
১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ বাঙালি সেনাদের মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের খবর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। সামরিক জান্তা কারফিউ তুলে নিলে ঢাকা ছাড়েন রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ।
এদিকে ২৫ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে নজিরবিহীন বিক্ষোভ ভারতের কোলকাতা ও দিল্লীতে।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বাঙালির সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় ২৬ মার্চ থেকেই। ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে বাঙালি সেনাদের মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের বার্তা তরঙ্গসীমা ছাড়িয়ে মুখে মুখে পৌঁছে যায় সারাদেশের মানুষের কাছে।
২৫ মার্চ মধ্য রাতে গণহত্যায় বিপর্যস্ত ঢাকায় কয়েক ঘণ্টার জন্য এদিন কারফিউ তুলে নেয় জান্তা সরকার। এ সুযোগে বেঁচে যাওয়া নগরবাসী, লুকিয়ে থাকা রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়ে। পার্শ্ববর্তী রায়ের বাজার একাত্তরে ছিল পুরো গ্রামীণ জনপদ। অবরুদ্ধ শহর থেকে ভারতে রওনা দিয়ে ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম এখানেই মুক্তাঞ্চলের আমেজ পান।
পাকসেনারা দেশি পত্রিকা অফিসে হামলা এবং বিদেশি সাংবাদিকদের দেশ ছাড়া করায় বিশ্বগণমাধ্যমে গণহত্যার খবর তখনও তেমন আসেনি।
তবে ২৭ মার্চ ভারতে ব্যাপক বিক্ষোভে নিরবতা ভাঙ্গে। তা এখনো স্মরণে আছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক নেতা মুবিনুল হায়দায় চৌধুরীর।
অন্যদিকে পিপলস পার্টির জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকা অবস্থানকালেই যে গণহত্যা ঘটলো, সে ব্যাপারে ২৭ মার্চ তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে বলেন, দেশ রক্ষা পেয়েছে।
ভারতে বিক্ষোভের খবর ২৭ মার্চ বিশ্বজুড়ে প্রচার হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান রাতেই তাদের পক্ষে যুক্তি দিতে দেশে দেশে দূত পাঠাতে শুরু করেন। তবে বিশ্ববাসী তা বিশ্বাস করেনি, নয় মাসের বীরত্মপূর্ণ লড়াইয়ে বাঙালিরা ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা।
এসএইচ/