ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

পদ্মাপাড়ে হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী

প্রকাশিত : ০৪:২৫ পিএম, ২৭ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পদ্মার পাড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় তাঁত পল্লী। তাঁত শিল্পের উন্নয়নে এ পল্লী স্থাপনে অনুমোদনের জন্য সম্প্রতি একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় । প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এ  প্রকল্পটির মূল্যায়ন এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় শিগগির উপস্থাপন  করা হবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় প্রকল্প প্রস্তাবে জানিয়েছে, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর মৌজা ও শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার নাওডোবা মৌজার ১২০ একর জমিতে এ পল্লী স্থাপন করা হবে। পদ্মা সেতুর শরীয়তপুর জেলার প্রস্তাবিত রেলস্টেশনের কাছাকাছি অবস্থান হবে এ পল্লীর। যাতে এখানকার তাঁতিরা কাঁচামাল সংগ্রহ ও উৎপাদিত পণ্য সহজে আনা-নেওয়া করতে পারেন।

এ বিষয়ে তাঁত বোর্ডের সদস্য (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) গাজী মো. রেজাউল করিম বলেন, এটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় তাঁতপল্লী। এ খাতের আধুনিক সব ব্যবস্থা রেখেই এ পল্লী স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথমে মিরপুরের তাঁতীদের সরিয়ে নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জায়গার তাঁতীদেরও এ পল্লীতে সুযোগ করে দেওয়া হবে। পদ্মা সেতুর কারণে পল্লীটির আকর্ষণ আরও বাড়ছে। তিনি বলেন, পল্লীতে তাঁতীদের জীবনযাপন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সব ব্যবস্থা রাখা হবে।

প্রকল্পটির আওতায় তাঁতপল্লী স্থাপনের পাশাপাশি তাঁতীদের কাপড় বোনার আগে ও পরে বিভিন্ন ধরণের সুবিধা দেওয়া হবে। পল্লীতে তাঁতীদের জন্য ৪২টি আবাসিক ভবন থাকবে। ২ হাজার ১৬ জন তাঁতীকে একটি করে ৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। এ ছাড়া তাঁতিদের জন্য তাঁতশেড, ৫০০ জন কারিগরের বসবাস উপযোগী ডরমেটরি, একটি রেস্টহাউস, সাইবার ক্যাফে ও পল্লী বিদ্যুতের উপকেন্দ্র থাকবে। এ ছাড়া সপ্তাহে এক বা দুই দিন তাঁতপণ্যের হাট বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে সুতাসহ বিভিন্ন কাঁচামালের বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র থাকবে। মূলত তাঁতের কাপড় বোনা থেকে শুরু করে পোশাক তৈরি ও বিক্রি পর্যন্ত সব ব্যবস্থা থাকবে এ পল্লীতে। এখানে আট হাজার ৬৪টি তাঁত প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে এক হাজার ৯১১ কোটি টাকা। পুরো অর্থই সরকারি তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শেষ হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটির বাস্তবায়ন কাজ করবে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড।

আরকে/ এমজে