ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

‘ভূমিক্ষয়ে বিপদে ৩২০ কোটি মানুষ’

প্রকাশিত : ০৭:০০ পিএম, ২৭ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার

মানুষের নানামুখী কর্মকাণ্ডে ধ্বংস হচ্ছে ভূমি। আর এতে বিপদে পরেছে বিশ্বের ৩২০ কোটি মানুষ। সেইসঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রজাতির বিলুপ্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনকেও ত্বরান্বিত করছে এই ভূমিক্ষয়।

মঙ্গলবার দ্য ইন্টার গভর্নমেন্টাল সায়েন্স-পলিসি প্ল্যাটফর্ম অন বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম সার্ভিস (আইপিবিইএস) নামের এক আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে। তিন বছর ধরে বিশ্বের ৪৫টি দেশের শতাধিক বিশেষজ্ঞ এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেন।

আইপিবিইএস বিশ্বের ১২৯টি দেশের প্রতিষ্ঠান। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোই আইপিবিইএস-র সদস্য হতে পারে। এর পাশাপাশি বিশ্বের বেশ কিছু বেসরকারি সংগঠন এবং নাগরিক সংগঠন প্রতিষ্ঠানটির পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছে। বিশ্বে এই প্রথম ভূমি নিয়ে এ ধরনের একটি বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো।

আইপিবিইএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমি ধ্বংস হওয়ার কারণে ব্যাপক হারে বাড়ছে অভিবাসন। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিরোধ। ভূমি ধ্বংসের ফলে এখন জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার যে পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে, তা ২০১০ সালে বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ‍প্রায় ১০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষিজমির পরিমাণ বৃদ্ধি, কৃষিজমি ও তৃণভূমির অটেকসই ব্যবস্থাপনার ফলেই ভূমিক্ষয় বা ধ্বংস ঘটছে। আর এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা, সুপেয় পানি শোধন ও প্রয়োজনীয় জ্বালানির উৎসের। বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় এ পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

আইপিবিইএসের সমীক্ষার কো-চেয়ারপারসন রবার্ট স্কোলস জানান, পৃথিবীর ভূমির এই ক্ষয় ৩২০ কোটি মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তাই জীববৈচিত্র্য এবং প্রতিবেশ ব্যবস্থার জন্য জরুরি ভিত্তিতে এখন সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পৃথিবীর সকল প্রাণ এবং সমগ্র মানবপ্রজাতির অস্তিত্বের জন্য এটি আজ সময়ের দাবি।’

সমীক্ষার আরেক কো-চেয়ারপারসন লুকা মনটানারেলা জানান, ১৯০০ সালের পর থেকে ৫৪ শতাংশ জলাভূমি ধ্বংস হয়ে গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বের দেড় শ কোটি হেক্টর প্রাকৃতিক ভূমি কৃষিজমিতে পরিণত করা হয়েছে। কিন্তু এখন মাত্র ২৫ ভাগেরও কম ভূমি মানুষের কর্মকাণ্ডের বাইরে আছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে এর পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে চলে আসবে বলে প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

একে//টিকে