ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

আজ ঐতিহাসিক ২৮ মার্চ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৯:০২ এএম, ২৮ মার্চ ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১০:২৫ এএম, ২৮ মার্চ ২০১৮ বুধবার

আজ ২৮ মার্চ, ১৯৭১ সালের এইদিন জল-স্থল-আকাশ থেকে বহুমাত্রিক আক্রমনে বাঙালী সেনারা পিছিয়ে গেলে পাকিস্তান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায় চট্টগ্রাম। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাঙালী সেনা এবং যশোর ও বরিশালে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক সাফল্য পায়। অন্যদিকে লন্ডনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিক্ষোভ সারাবিশ্বে পৌছে দেয় যুদ্ধের বার্তা।

স্বাধীনতার ঘোষণার সময় চট্টগ্রাম ও আশাপাশের অধিকাংশ এলাকা বাঙালি সেনাদের দখলে থাকলেও ২ দিনের ব্যবধানেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। চট্টগ্রামের দক্ষিণ থেকে বেলুচ রেজিমেন্ট, উত্তর থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাস এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে অগ্রসরমান পাকসেনাদের হামলায় পিছিয়ে আসার কৌশল নিতে হয় বাঙালীসেনাদের। তার সঙ্গে বঙ্গোপসাগর ও আকাশ থেকে বোমাবর্ষণে ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম চলে যায় পাকিস্তানীদের নিয়েন্ত্রণে।

তবে যশোর অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধারা এগিয়ে যায় দুর্বারগতিতে। তাজউদ্দিন আহমদ, ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলামরা পশ্চিমবঙ্গের দিকে ছুটে পথে পথে দেখেন যুদ্ধের প্রস্তুতি। ড. রেহমান সোবহান উল্টোপথে পূর্বে ত্রিপুরামুখী পথে দেখেন, সেনা ইউনিট নিয়েও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকসেনাদের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে না গিয়ে খালেদ মোশাররফ চোরাগুপ্তা গেরিলা হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রাখেন নিজের হাতে।

আন্ডরগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিতরা বরিশালের পেয়ারাবাগান থেকে যুদ্ধ শুরু করে ২৮ মার্চ থেকে, পুরো মুক্তিযুদ্ধে তারা ভারত যায়নি। এমন গোপন দলগুলো নক্সালকর্মীদের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে ২৮ মার্চ থেকে, অস্ত্রের যোগানও আসে সেখান থেকেই।

আন্তর্জাতিকভাবে এদিন বাঙালীর স্বাধীনতা আন্দোলনে বড় ঘটনা ঘটে লন্ডনে। গণহত্যার বদলা নেয়ার প্রত্যয়ে বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালী। এতে অংশ নেন বিদেশীরাও।

 

টিআর/