ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ভৈরবে সরকারি গুদামে বস্তাপ্রতি ৭ কেজি সার কম দেওয়ার অভিযোগ(ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৯:১২ এএম, ২৮ মার্চ ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১২:৫৯ পিএম, ২৮ মার্চ ২০১৮ বুধবার

ভৈরব বিএডিসি সার গুদামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সার কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৫০ কেজির ডাই অ্যামোনিয়া ফসফেট-ড্যাপ সারের বস্তায় এক থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত কম পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করেছে বিএডিসি। এদিকে বস্তাপ্রতি গড়ে ৫ কেজি সার কম থাকায় তা বিক্রি করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে গুদাম কর্তৃপক্ষ। 

গুদাম কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রি-ব্যাগিং করে দেয়ার শর্তে গুদাম কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের কাছ থেকে সার গ্রহণ করলেও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তা মানছে না। একইসঙ্গে ডিলারদের কাছে প্রয়োজনীয় সার সরবরাহ বন্ধ রেখেছে সার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রোমান এন্টারপ্রাইজ।

গত ৭ মার্চ বিএডিসির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাব এজেন্ট রোমান এন্টারপ্রাইজ ৬শ’ বস্তা নন ইউরিয়া ডাই অ্যামোনিয়া ফসফেট সার নৌকা যোগে ভৈরব বিএডিসি গোডাউনে পাঠায়। বুঝে নেয়ার সময় দেখা যায় প্রায় সবগুলো বস্তায় সার কম।

একই প্রতিষ্ঠান গত ১৯ মার্চ এক হাজার ৪শ’ বস্তা সার পাঠায় বিএডিসি’র এ গুদামে। এক্ষেত্রেও একই চিত্র।

সার কম থাকায় চালান গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় গুদাম কর্তৃপক্ষ। পরে সঠিক ওজনে রি-ব্যাগিং করে দেয়ার শর্তে গুদামজাত করা হলেও ডিলারদের কাছে সার সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিষয়টি জানতে রোমান এন্টারপ্রাইজের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এদিকে, সার লোড-আনলোডের ক্ষেত্রে হুকিং নিষিদ্ধ হলেও তা মানছেন না শ্রমিকরা। অবাধে হুক ব্যবহারের কারণে সারের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে বলে জনিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।