যুক্তরাষ্ট্রের ঘুম হারাম
হাইপারসনিকের মালিক হচ্ছে চীন-রাশিয়া
প্রকাশিত : ১০:৪২ এএম, ২৮ মার্চ ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১০:৪৫ এএম, ২৮ মার্চ ২০১৮ বুধবার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা খাতকে তছনছ করে দিতে পারে এমন হাইপারসনিক অস্ত্র নির্মাণ করছে রাশিয়া ও চীন। ওই হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্র মোকাবেলা করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় পরমাণু অস্ত্রাগারের ইনচার্জ জেনারেল জন হাইথেন। এতে মারাত্মক দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে দেশটি।
হাইথেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এমন দ্রুতগতির বোমারু বিমান বানাচ্ছে, যা ধ্বংস করে দেওয়ার কোন পন্থা যুক্তরাষ্ট্র আবিষ্কার করতে পারেনি। তবে চীন ও রাশিয়া কয়েক বছর ধরে ওই ক্ষেপনাস্ত্রগুলোর পরীক্ষা বন্ধ রাখলেও সম্প্রতি দেশ দুটি আবারও অস্ত্র সমৃদ্ধির দিকে নজর দিচ্ছে। তাই দেশটির নিজস্ব নিরাপত্তা বাড়াতে প্রতিরক্ষা খাত নিয়ে নতুন করে ভাবার কথাও উল্লেখ করেন হাইথেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রেটেজিক কমান্ডের প্রধান হাইথেন আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ক্ষেপনাস্ত্রে দ্রুত পরিবর্তন আনতে হবে। অন্যথায় দেশ দুটি হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ওই ক্ষেপনাস্ত্র আটকানো কোনোভাবেই সম্ভব হবে না’। হাইথেন আরও বলেন, চীন হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, রাশিয়াও একই পরীক্ষা চালিয়েছে এবং আমরাও চালিয়েছি। তবে মনে রাখতে হবে, হাইপারসনিকের সক্ষমতা শুধু যুক্তরাষ্ট্র-ই নয়, পুরো বিশ্বের জন্যই হুমকি।
সিএনএনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে হাইথেন বলেন, আমাদের খুব দ্রুত হাইপারসনিক হুমকি মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরণের সেন্সর প্রয়োজন। হাইথেনসহ পরমাণু বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বে এখন যে রাডার ব্যবহৃত হচ্ছে, তা দিয়ে নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক অস্ত্র শনাক্ত করা সম্ভব নয়। ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮০৬ মাইলের বেশি গতিতে চলমান ক্ষেপনাস্ত্রকে হাইপারসনিক বলা হয়।
এদিকে রাশিয়া যে কেবল আকাশ হাইপারসনিক সমৃদ্ধ করছে তা না, দেশটি বরং সাবমেরিন হাইপারসনিকেরও পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে বলে কংগ্রেসকে গত সপ্তাহে হুশিয়ারি করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতের গুরুত্বপূর্ণ এ ব্যক্তি। এসময় ওই ক্ষেপনাস্ত্রগুলো কিভাবে মোকাবেলা করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। এদিকে রাশিয়ার হাইপারসনিক অস্ত্র অর্জনে কে এগিয়ে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে হাইথেন বলেন। আমি বলবো না যে, কে জিততে যাচ্ছে। তবে এটা বলবো, হাইপারসিন অর্জনে শিথীল যুদ্ধ চলছে।
সূত্র: সিএনএন
এমজে/