ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতে ধর্ষণ
প্রকাশিত : ১১:৪৬ পিএম, ২৮ মার্চ ২০১৮ বুধবার
একটি ধর্ষণের ঘটনার প্রতিশোধে আরেকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানে। প্রথম ধর্ষণ ঘটনার ধর্ষকের বোনকে দ্বিতীয় ঘটনায় ধর্ষণ করেছে প্রথম ধর্ষিতার ভাই। প্রথম ধর্ষকের পরিবারের সম্মতিতে হওয়া দ্বিতীয় ধর্ষণের পর পাকিস্তান পুলিশ এর সাথে জড়িত ১২জনকে আটক করে।
ধর্ষণের শাস্তিস্বরুপ ধর্ষণের এমন নৃসংস ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে। প্রদেশের পিরমহল শহরের গরীবাবাদ এলাকায় গত ২০ মার্চ স্থানীয় একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে ওয়াসিম সাইদ নামের এক যুবক। ধর্ষিতার পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে ধর্ষকের পরিবার আইনী প্রক্রিয়ার বাইরেই বিষয়টি নিষ্পত্তি করার কথা জানায়।
এরপর গ্রাম্য সালিশীতে প্রথম ধর্ষিতা নারীর পরিবার দাবি তোলে যে, ধর্ষিতার ভাই ধর্ষিতার বোনকে ধর্ষণ করবে। দাবি মেনে নিয়ে, নিজেদের মেয়েকে ধর্ষিত হতে দেয় ওয়াসিমের পরিবার।
প্রথম ধর্ষণ ঘটনার এক দিন পর গত ২১ তারিখ ওয়াসিমের বোনকে ধর্ষণ করে প্রথম ধর্ষিতার ভাই।
পুলিশ এই ঘটনাটি তখন জানতে পারে যখন দুই পরিবার এই ধর্ষণ বিষয়ে দলিলে চুক্তিনামা স্বাক্ষর করতে যায় তখন। গ্রাম্য মাতব্বরদের উপস্থিতিতে তাঁরা একটি চুক্তিনামা প্রস্তুত করে যাতে উল্লেখ আছে যে, উভয় পরিবারই কারও বিরুদ্ধে কোন আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে না।
ধর্ষণ এবং পালটা ধর্ষণের এমন ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পাঞ্জাব পুলিশের কর্মকর্তা রেহমান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়াও আরও ৩ জন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে পাঞ্জাব পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে দুই পরিবারের ৪ জন নারী সদস্যও আছেন। এছাড়াও দুই পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ দুই জন ব্যক্তি ছাড়াও গ্রাম্য সালিস কেন্দ্রের মাতব্বরও আছেন।
প্রসঙ্গত, প্রতিশোধমূলক ধর্ষণ অথবা পালটা ধর্ষণের ঘটনা পাকিস্তানে এটিই প্রথম নয়। ভারতের গুজরাটের সাথে পাকিস্তানের নিকটবর্তী একটি এলাকায় ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ দুই অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে অপহরণ করে ১৩ জন ব্যক্তি। এরপর তাদের বাবার সামনেই মেয়ে দুইটিকে গণধর্ষণ করেছিল অপহরণকারীরা।
মেয়ে দুইটির ভাই এর আগে অপহরণকারীদের কিছু পণ্য চুরি করেছিলেন এমন অভিযোগ ছিল।
সূত্র: নিউজ এক্স
//এস এইচ এস//টিকে