আত্মহত্যার চিন্তা থেকে ফিরে আসি : ইলিয়েনা
প্রকাশিত : ০২:১২ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
বলিউড অভিনেত্রী ইলিয়েনা ডি’ক্রুজ। ক্যারিয়ারের শুরু দক্ষিণী সিনেমা দিয়ে। রূপ ও অভিনয় দক্ষতায় কোটি ভক্তের মন জয় করেছেন তিনি। নিজের ক্যারিয়ারে সুপারহিট সিনেমার সংখ্যাই বেশি। তবে দক্ষিণী সিনেমার পাশাপাশি বলিউড পাড়াতেও সমানভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিনেত্রী। আজকের অবস্থানে আসার পেছনে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে নায়িকাকে।
অনেকেই হয়তো জানেন না, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এ সুন্দরী অভিনেত্রী আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। তাকে ঘিরে ধরেছিল বিষণ্ণতা ও বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডারে। ২১তম ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব মেনটাল হেলথ’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা প্রকাশ করলেন ইলিয়েনা।
সবার সামনে বললেন, ‘আমি আত্মসচেতন ব্যক্তি এবং সবসময়ই আমার শারীরিক গড়ন নিয়ে চিন্তায় থাকতাম। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে চাইতাম। আমার সবসময় মন খারাপ থাকত। কিন্তু এ বিষয়ে সাহায্য পাওয়ার আগে বুঝতে পারিনি আমি বিষণ্ণতা এবং বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডারে ভুগছি। এক পর্যায়ে আত্মহত্যার চিন্তা করেছিলাম এবং সবকিছু শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যখন মেনে নিলাম, আমি যা এবং যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছি সেটিই ঠিক তখন সবকিছু ঠিক হয়ে গেল। আমি মনে করি এটিই বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রথম ধাপ।’
ইলিয়েনা আরও জানান, বলিউডে সবচেয়ে বেশি কাস্টিং কাউচের শিকার হন নতুন মেয়েরা। বলিউডে অভিনয়ের অনেক স্বপ্ন তাদের চোখে। নিশ্চয়ই কেউ চান না, তাদের ক্যারিয়ার শুরুতেই শেষ হয়ে যাক। আর এ কারণেই কাস্টিং কাউচের ঘটনা সব সময় ধামাচাপা পড়ে যায়।
এ অভিনেত্রী দাবি করেন, ভারতে বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পূজা করা হয়। সেখানে কাস্টিং কাউচ নিয়ে মুখ খুললে যে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে তেলেগু চলচ্চিত্র ‘দেবাদাসু’-তে অভিনয়ের জন্য ওই বছরের সেরা নবাগত নায়িকা বিভাগে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জয় করেন ইলিয়েনা। এরপর পোকিরি (২০০৬), কিক (২০০৮) এবং জুলারি (২০১২) চলচ্চিত্রে তার সরব উপস্থিতি দর্শকদের মন জুড়িয়েছে। এসব সফলতার পেছনে রয়েছে অনেক সংগ্রামের গল্প ও চাকচিক্যে ভরা বলিউডে টিকে থাকার অভিজ্ঞতা।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
এসএ/