রংপুরের ৭০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিশোরীবান্ধব স্যানিটেশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৬ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
রংপুর তারাগঞ্জের বরাতী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা সরঞ্জামে তেমন ঘাটতি না থাকলেও বড় ঘাটতি স্যানিটেশন সুবিধায়। ছয়শ`র বেশি ছাত্রছাত্রীর জন্য এখানে ছিল মাত্র দুটি টয়লেট। বিদ্যালয়টির একসময়কার চিত্র এখন বদলে গেছে। স্কুলটির নোংরা দুটি টয়লেটের জায়গায় তৈরি হয়েছে পানি ও পর্যাপ্ত আলোর সুবিধাসম্পন্ন পাকা স্যানিটেশন কমপ্লেক্স। নতুন টয়লেটে মাসিক ব্যবস্থাপনার উপকরণ পেয়ে মেয়েরা ভীষণ খুশি।
বেশ বড় আকারের এ কমপ্লেক্সে রয়েছে রিফ্রেশ রুম, বেসিন, র্যাক, আয়না, খোলামেলা বসার জায়গা এবং মেয়েদের মাসিক ব্যবস্থাপনার উপকরণ। রয়েছে পর্যাপ্ত পানি ও আলোর ব্যবস্থা।
বর্তমানে সেখানে ছাত্রীদের মাসিক ব্যবস্থাপনার সুবিধাও রয়েছে। আগের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলে এখন স্বপ্নের মতো মন হয় বলে জানালেন স্কুলটির শিক্ষক মমতা রায় বলেন।
স্কুলের এক শিক্ষার্থী বলেন, আগে মাসিকের সময় স্কুলে যেতাম না। কিন্তু এখন সে সমস্যা নেই। স্কুলের টয়লেটে প্যাড, সাবান সবই থাকায় মাসিক এখন আর সমস্যা নয়।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে রংপুর বিভাগের সব উপজেলায় `ওয়াশ ইন স্কুল` কর্মসূচির আওতায় একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা মাদ্রাসায় `ইনক্লুসিভ স্যানিটেশন কমপ্লেক্স` নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। ওয়াটারএইড প্রথম পর্যায়ে রংপুর বিভাগের ৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও মেয়েদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করে দেয়।
ওয়াটারএইড বলছে, স্কুলে নিরাপদ মাসিক পরিচর্চার ব্যবস্থা থাকা মেয়েদের জন্য কেবল সুযোগ নয়, অধিকারও। এরই মধ্যে প্রকল্পভুক্ত এলাকায় কিশোরীদের মাসিক-সংক্রান্ত অভ্যাসে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
একে// এআর