ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত উৎসব

প্রকাশিত : ০৭:০০ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে বসন্ত উৎসব পালিত হচ্ছে। ঢাবি ছাত্র-শিক্ষক  (টিএসসি) কেন্দ্রের মাঠে আজ সকালে দিনব্যাপী উৎসব উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরিন আহমাদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমাদের সংস্কৃতির এক সুন্দর ঋতু বসন্ত। বাঙালির ছয় ঋতুর রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ঐহিত্য। কিন্তু বসন্তের আমেজ সবাইকে এনে দেয় অসামান্য পরিবর্তন। নানা ফুলের সমারোহ পরিবেশকে করে তোলে উপভোগ্য। ফুল আর প্রকৃতির নতুন সাজে তৈরি করে উৎফুল্ল পরিবেশ । সবার জীবনে একইভাবে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে। জীবন নতুন করে এগিয়ে চলে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী। সংসদের শিল্পীদের বসন্তবরণ নৃত্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর। বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি আহসান রনি ও সাধারণ সম্পাদক রাহাবার আলম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় তিন জন গুণী শিল্পীকে সন্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত শিল্পীরা হচ্ছেন রাহুল আনন্দ, অনন্ত হীরা ও নূনা আফরোজ। তাদের হাতে সন্মননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি অধ্যাপক নাসরিন আহমাদ। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি বেলুন উড়িয়ে উৎসব উদ্বোধন করেন।

অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর বলেন, বসন্ত আমাদের বৈচিত্রপূর্ণ সংস্কৃতির অন্যতম ঋতু ও ঋতুরাজ। একে কেন্দ্র করে বহুকাল ধরে বাঙালি জাতি তাদের বিশেষ ঐতিহ্য,সাংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে লালন করে আসছে। এ ঋতু আমাদেরকে নবতর জীবনের আভাস এনে দেয়। জীবনের ধারাবাহিকতায় নতুনভাবে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়। সমূহ সৌন্দর্য আর মানবিক চেতনায় বসন্ত রাঙিয়ে তোলে বাংলাদেশকে। এ জন্যেই কবি বলেছেন,‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি । ’

পরে একটি র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছাত্র-শিক্ষক ও শিল্পীরা অংশ নেন। উৎসবের বিভিন্ন পর্যায়ের অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করে গানের দল জলের গান, গানকবির শিল্পীরা। এ ছাড়া ছিলো নাগর দোলা, পুতুল নাচ, বানর নাচ, মোরগ লড়াই, বেলুন শ্যুট। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে গীতিনাট্য পরিবেশন করে সংসদের শিল্পীরা। পরিবেশিত হয় পুঁথিপাঠ,পাহাড়ি নৃত্য, ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে পালাগান, লাঠি নৃত্য ও নাট্যদল ‘বঙ্গলোক’-এর নাটক। উৎসবে সারাদিনই গ্রাম্যমেলায় ছিল নানা পন্যের সমাহার। এতে কয়েকটি স্টলে হস্তশিল্প ও মৃৎশিল্প সামগ্রি বিক্রি করা হয়। সূত্র: বাসস

আর/টিকে