ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বেসিসের নেতৃত্ব দিতে চাই
কাজী ইফতেখারুল আলম তারেক
প্রকাশিত : ০৮:৩৬ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:২২ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ স্থানীয় এই বাণিজ্য সংগঠন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমূহের সংস্থা যা জাতীয়ভাবে সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে ইতোমধ্যে তিনটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। টিম তিনটি হল - উইন্ড অব চেঞ্জ, টিম হরাইজন, টিম দুর্জয়।
৯ জন পরিচালকের জন্যে তিন প্যানেলে জয়ের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে ২৬ জন প্রার্থী। আসন্ন ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য বেসিস নির্বাচন নিয়ে একুশে টেলিভিশন অনলাইনের মুখোমুখি হয়েছেন `উইন্ড অব চেঞ্জ` প্যানেল থেকে পরিচালক পদে প্রার্থী এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবু দাউদ খান।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আপনার সম্পর্কে শুনতে চাই? তথ্য প্রযুক্তি খাতে আপনার সম্পৃক্ততা কিভাবে হল সেই সম্পর্কে বলুন?
আবু দাউদ খানঃ আমি ১৯৭৬ সালে গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহন করি এবং শৈশব কেটেছে গ্রামে। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে কলেজ জীবন শেষ করি এবং এমবিএ করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে। বর্তমানে আমি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। যা একটি বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং কোম্পানি। আমার প্রতিষ্ঠান ২০০৮ সালে পার্টনারসহ চালু করি। প্রায় ছয় বছর ধরে আমি এমডি অ্যান্ড সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি সব সময় অ্যাকশান ওরিয়েন্টেড এবং যে জায়গাতে থাকি না কেন সফল হতে চেয়েছি, আমি আমার ১৬ বছরের করপোরেট ক্যারিয়ারে নকিয়ার তিনটি দেশের কানট্রি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে নিজেই উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যবসা শুরু করি। আমার প্রতিষ্ঠান বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রিতে এখন সুনামের সাথে ব্যবসা করে চলেছে। এছাড়াও আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের একজন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আপনার প্রতিষ্ঠান কি ধরণের কাজ হয়ে থাকে?
আবু দাউদ খানঃ আমার প্রতিষ্ঠান মূলত পিপল আউটসোর্সিং ও কন্সাল্টিং এ স্বনামখ্যাত একটি প্রতিষ্ঠান, কাস্টমার সার্ভিস নিশ্চিত করার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শুরু করি বিভিন্ন সেবা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ গ্রাফিক্স ও ওয়েবসাইট ডিজাইনের জন্য এনরুট ডিজিটাল ল্যাব, পেরোল মানেজমেন্টের জন্য এনরুট পে-সল্যুশনস, এনরুট কল সেন্টার এবং ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম “সুদক্ষ”- দেশের সর্বস্তরে গুণগত শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়াই যার উদ্দেশ্য।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ উইন্ড অব চেঞ্জ নির্বাচিত হলে বেসিসের কোন কোন পরিবর্তনের জন্য কাজ করবে?
আবু দাউদ খানঃ বেসিসের সদস্যরা যেসব প্রত্যাশা করেন সেসব বিষয় নিয়েই মূলত কাজ করার অঙ্গীকার করেছে প্যানেলটি। এর মধ্যে রয়েছে- শুধুই ইভেন্ট আয়োজন নয়, এর মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ঘটানো; শুধুই ‘হাইপ’ তৈরি করা নয় এর ফলাফল তৈরি করা; শুধুই প্রতিশ্রুতি নয়, তার বাস্তবায়ন ঘটানো; আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার পরিবর্তে সদস্য সেবা দ্রুত ও সহজীকরণ এবং শুধু নীতিমালা প্রণয়ন নয়, এর বাস্তবায়ন ঘটানো। আমরা নির্বাচিত হলে সেই কাজের প্রতিফলন আপনারা দেখতে পাবেন। এই ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। কাজ করে আরও পরিবর্তন আনতে চাই।
৩. একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ বেসিস নির্বাচনে আপনাদের প্যানেল সম্পর্কে বলুন?
আবু দাউদ খানঃ আসন্ন বেসিস নির্বাহী পরিষদ ২০১৮-২০২০ নির্বাচনে ‘উইন্ড অফ চেইঞ্জ’ প্যানেলের হয়ে অংশগ্রহণ করছি। এই প্যানেলে প্রযুক্তি খাতে অভিজ্ঞ সফল ব্যবসায়ী কিন্তু বেসিস নির্বাহী কমিটি নির্বাচনে নতুন এমন এক ঝাঁক উদ্যমী প্রার্থী রয়েছেন। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন লুনা শামসুদ্দোহা, চেয়ারম্যান, দোহাটেক নিউ মিডিয়া। এই প্যানেলে আরও রয়েছেন মোহাম্মাদ নূরুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, ড্যাফোডিল কম্পিউটারস প্রধান নিবাহী কর্মকর্তা, ড্যাফোডিল ফ্যামিলি। ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান, প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডিভাইন আইটি লিমিটেড। রেজওয়ানা খান, পরিচালক ও সিইও, স্টার কম্পিউটার সিস্টেমস লিমিটেড। নূর মাহমুদ খান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রাইট ব্রেইন সল্যুউশন। এম আসিফ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এ. আর. কমিউনিকেশন। মোহাম্মাদ সানোয়ারুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইনোভেশন ইনফরমেশন সিস্টেম লিমিটেড।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ বেসিসে কেমন পরিবর্তন আনতে চান?
আবু দাউদ খানঃ বেসিস, তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরের প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করার জন্য উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে আসছে। এই ধারাকে অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে, সেই সঙ্গে আমরা বেসিসকে আরও রেসপন্সিভ এবং অ্যাক্সেসেবল করতে চাই, যাতে করে আমরা সর্বস্তরের আইটি উদ্যোগতাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারি, কারণ আমরা মনে করি, সমতার এই অংশগ্রহণই পারে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করতে। একই সঙ্গে আমরা বেসিসের সেক্রেটারিয়াল দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জবাবদিহিতা সুনিশ্চিত করতে চাই।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ বেসিসের এই নির্বাচনে আপনার প্রতিশ্রুতি কি?
আবু দাউদ খানঃ `নতুন উদ্যমে, নবরূপে` এই স্লোগানেকে মাথায় রেখেই আমরা এগিয়ে চলেছি। আসছে, ২০১৮-২০২০ নির্বাচনে আমাদের প্যানেল ‘উইন্ড অফ চেইন্জ’ এর লক্ষ্য বেসিসকে পরবর্তী ধাপে উন্নীত করা। এজন্য আমাদের কাজ করতে হবে বেশ কিছু ইম্প্রুভমেন্টের জায়গায়। বেসিস প্লাটফর্মের মাধ্যমে আইসিটি সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আমি নিজে ফোকাস করব এমন এরিয়াগুলো যা আমি পারি।
০১. আমি দেশে আইসিটি সেক্টরে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কর্মদক্ষ মানব সম্পদের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে দক্ষ আইটি প্রফেশনাল তৈরির জন্য কাজ করতে চাই। আমরা ইন্ডাস্ট্রি আর একাডেমির ভেতরে একটি মেলবন্ধন তৈরি করতে চাই, কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিষ্ঠানের আভ্যন্তরীণ ট্রেনিং এবং অনলাইনে ট্রেনিং এর পরিসীমা বৃদ্ধি করতে চাই।
০২. সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের ক্যাপাসিটি বিল্ড-আপ করতে চাই। বিশেষ করে যারা ছোট প্রতিষ্ঠান বা স্টার্টআপ; যারা হিমশিম খায়, কিভাবে বাজারে পণ্যের ব্র্যান্ডিং করবে, সহজ ও নির্ভুলভাবে হিসাব-নিকাশ রাখবে, কিভাবে এমপ্লয়মেন্ট দিবে ইত্যাদি। এজন্য আমি বেসিস মেম্বারদের পণ্যের মার্কেটিং বা ব্র্যান্ডিং, প্রতিষ্ঠানের এইচআর ও অ্যাকাউন্টিং প্রসেসে সাহায্য করতে চাই।
০৩. বেসিসের সেক্রেটারিয়াল দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বেসিসকে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। মেম্বার সার্ভিস নিশ্চিত করতে বেসিসে এমন এক পরিবেশ তৈরি করতে চাই যেখানে একজন সিইওর নেতৃত্বে কাজ করবে প্রফেশনালরা। এর সাথে কর্মক্ষমতাভিত্তিক সংস্কৃতিকেও রিইনফোর্স করতে চাই।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ কি ধরণের প্রতিশ্রুত উদ্যোগ নিয়েছে?
আবু দাউদ খানঃ বেসিসের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন ব্যবসা ক্ষেত্র তৈরিতে এবং সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করতে ১২টি প্রস্তাবনা দিয়েছে প্যানেলটি। উইন্ড অব চেঞ্জ এর প্রতিশ্রুতি গুলো হল (১) সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘ইনসোর্সিং’ জনপ্রিয় করতে বেসিস রিসোর্স শেয়ারিং হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে, যেন সদস্যদের প্রকল্পগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যবসার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। (২) বেসিস দেশের পেশাদারি ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় সদস্যদের অনলাইন মার্কেটিং সুবিধা দেবে। এজন্য ‘ডিজিটাল প্রমোশন অ্যাডভাইজরি এবং সাপোর্ট সার্ভিস’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মাধ্যমে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল মিডিয়ায় তাদের পণ্য/সেবার প্রচার পেশাদারিভাবে এবং স্বল্পমূল্যে করার সুবিধা পাবে। (৩) সদস্যদের পণ্য ও সেবার বাজার বৃদ্ধিতে বাণিজ্য সংগঠনসমূহ এবং বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে (যেমন সিটিও ফোরাম, আইসিএবি, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, এইচআর প্রফেশনাল গ্রুপ ইত্যাদি)। (৪) সফটওয়্যার বিষয়ে বাজার সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রতিমাসে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দ এবং সম্ভাব্য গ্রাহকদের (যেমন- ব্যাংক, ইউনিভার্সিটি, গার্মেন্টস, ফার্মাসিটিক্যাল ইত্যাদি) নিয়ে যৌথ সভার আয়োজন করা হবে। (৫) নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করা হবে (যেমন ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রি সিকিউরিটি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন, ডাটা সায়েন্স প্রভৃতি)। (৬) প্রতি মাসে ‘মেম্বার টক’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ অনুষ্ঠানে তাদের ব্যবসায়িক মডেল, আইডিয়া ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। মেম্বার টেক অনুষ্ঠানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচার এবং অন্যান্য ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রচার করা হবে। (৭) বেসিস সফটএক্সপোর ধরণ এবং ফরম্যাট পরিবর্তন করা হবে যেন এটি পুরোপুরি বিটুবি মার্কেটপ্লেসের রূপ নিতে পারে। বেসিসের ওয়েবসাইট নতুন করে সাজানো হবে যাতে সদস্যরা তাদের পণ্য ও সেবা সঠিকভাবে ‘প্রমোট’ করতে পারে। (৮) সদস্যদের উপযুক্ত পরামর্শ ও দিকনিদের্শনা দিতে ‘প্রোডাক্ট ফোরাম’ গঠন করা হবে, যাতে সার্ভিস কোম্পানিগুলো তাদের সার্ভিসগুলোকে প্রোডাক্ট হিসেবে রুপান্তর করতে পারে। (৯) বাজার সম্প্রসারণে ঢাকার বাইরে আঞ্চলিক কার্যক্রম বাড়ানো হবে (যেমন: চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী) এসএমই এবং সোহো সেগমেন্ট টার্গেট করে। (১০) দেশের বাইরেও বেসিসের ‘লিয়াজো অফিস’ খোলা হবে (যেমন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ইত্যাদি)। এ কার্যক্রমে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও যুক্ত করা হবে। (১১) নতুন আন্তর্জাতিক বাজারের সন্ধান করা হবে (যেমন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য) এবং সেসব দেশের সংশ্লিষ্ট আইটি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বেসিসের অংশীদারিত্ব এবং নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে। (১২) বিদেশি সফটওয়্যারের আগ্রাসন থেকে স্থানীয় বাজারকে রক্ষা করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিদেশি সফটওয়্যারের অবৈধ আমদানি সঠিকভাবে শনাক্ত করতে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর-এর সঙ্গে যৌথভাবে বেসিস কাজ করবে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ অন্য প্যানেল থেকে কোন কারণে আপনারটাকে যোগ্য মনে করছেন?
আবু দাউদ খানঃ আমরা স্বপ্ন দেখি ইতিবাচক পরিবর্তনের। আমরা ইন্ডাস্ট্রি আর একাডেমির ভেতরে একটি মেলবন্ধন তৈরির মাধ্যমে দক্ষ জনবল এবং উদ্যোগতা তৈরিতে কাজ করার জন্য কাজ করতে চাই। অন্যদের কাছে এটিকে একটি প্রতিশ্রুতি মনে হলেও আমাদের কাছে এটিই সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ। যা আমাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং একটি স্থিতিশীল উন্নয়নের অর্জনের পথকে সুগম করবে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ দেশের আইটি খাত নিয়ে আপনার স্বপ্ন কি?
আবু দাউদ খানঃ আমি বাংলাদেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রিকে বিশ্বের অন্যতম আই টি হাব এ রূপান্তরিত করার জন্য কাজ করতে চাই এবং ২০২১ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আধুনিক BASIS এর নেতৃত্ব দিতে চাই।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সময় দেয়ার জন্য।
আবু দাউদ খানঃ আপনাকেও ধন্যবাদ।