নকলবন্ধে চীনাকাণ্ড
প্রকাশিত : ০৩:৪৩ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার
পার্শ্ববর্তীদেশ বাংলাদেশ ও ভারত যখন নকলকাণ্ডে জর্জরিত তখন সেই ঢেউ যাতে চীনে পৌঁছাতে না পারে, সে জন্য দেশটি ড্রোন মোতায়েন ও পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াতসহ অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে চীন।
এসব ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ বাহিনী সোয়াত মোতায়েন। এ ছাড়া অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র সার্বক্ষণিক প্রশ্নপত্র পাহারা দেন তারা। অন্যদিকে প্রশ্নপত্র সঠিক জায়গায় ডেলিভারি হয়েছে কিনা তা ট্র্যাক করা হয় জিপিএসের মাধ্যমে।
পরীক্ষার হলে নকল প্রতিরোধে রয়েছে আরও কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। কোনো ছাত্র নকল করছে কিনা তা ধরতে মাথার ওপরে ঘোরাফেরা করে ড্রোন। এ ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রের চারপাশেও ঘোরাফেরা করে ড্রোন। কোনো রেডিও সিগন্যাল পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা সেটি সহজেই বুঝতে পারে ড্রোন। এত কিছুর ফাঁক গলে মন এলাহি আয়োজনের পরও যদি কেউ প্রশ্নফাঁস বা নকল করে ধরা পড়ে তার সাজা সাত বছরের কারাদণ্ড।
চীনে প্রতি বছর প্রায় এক কোটি ছেলেমেয়ে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ছাত্রছাত্রী পাস করে কলেজে পড়ার সুযোগ পায়। যেখানে পাশের হার ৩০ শতাংশেরও কম। তবুও দেশটিতে নকল করে পাশের হার বাড়ানোর কোন আলামত দেখা যায় না সচরাচর।
সূত্র: শিনহুয়া
এমজে/