ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

যেভাবে পাবেন তুরস্কের ভিসা

প্রকাশিত : ১১:৫৩ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১০:৫৪ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

‘এশিয়ার প্রবেশদ্বার’ বলা হয় তুরস্ককে। অটোম্যান সাম্রাজ্যসহ ইউরোপ আর এশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা এই তুরস্ক পর্যটকদের কাছেও বেশ আকর্ষণীয় জায়গা। পাঠকদের জন্য তুরস্ক ভ্রমণে ভিসা আবেদনের বিভিন্ন দিক নিয়েই আজকের এই আয়োজন।

আবেদন প্রক্রিয়া

তুরস্কের ভিসা আবেদনের জন্য মূল ধাপ তিনটি। প্রথম ধাপটি হল ‘প্রি-অ্যাপ্লিকেশন’। এই ধাপে www.visa.gov.tr এই লিংকে গিয়ে একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরমে জানতে চাওয়া বিষয়গুলোর সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হবে।

এই ধাপে আবেদনকারীর জাতীয়তা, পাসপোর্ট নম্বর, তুরস্ক ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং কোন দেশের তুরস্ক দূতাবাসে ভিসা আবেদন ফরম জমা দেবেন আবেদনকারী তা জানতে চাওয়া হয়।

এই তথ্যগুলো পূরণ হয়ে গেলে একটি চুক্তিনামা আসবে। যার সাথে ‘সম্মত’ হলে ভিসা আবেদনের পরবর্তী ধাপে যাওয়া যাবে। এই জায়গাটায় এসে ভিসা আবেদনের সাথে যেসব দলিল বা ডকুমেট প্রয়োজন তার একটি তালিকাও পাওয়া যাবে।

এগুলো হলঃ

১) ছবি ২) আয় সম্পর্কিত দলিল ৩) বিমান বুকিং এর টিকেট ৪) হোটেল বুকিং অথবা আমন্ত্রণ পত্রের দলিল ৫) আবেদনকারী দেশে ফিরে আসবেন এই সম্ভাবনার স্বীকৃতিস্বরুপ প্রমাণাদি যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট আর ৬) পরিচিতিমূলক চিঠি

‘প্রি-অ্যাপ্লিকেশন’ ধাপে যারা বিবেচিত হবেন তাদেরকে পরবর্তী ধাপ ই-ভিসা’র জন্য যোগ্য ঘোষণা করা হবে।

ই-ভিসার জন্য যোগ্য ঘোষিত হলে www.evisa.gov.tr এই লিংকে গিয়ে মূল ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ এই ধাপে আবেদনকারীকে তার পাসপোর্টও ভিসা অফিসে জমা দিতে হবে।

তৃতীয় আর শেষ ধাপটি হল সরাসরি সাক্ষাৎকার পর্ব। এই ধাপে আবেদনকারী যে ভিসা অফিসে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন সেই অফিসের একজন কর্মকর্তার সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করবেন। এসময় দুই পক্ষের কথোপকথনে নির্ধারিত হবে আবেদনকারী ভিসা পাবেন কী পাবেন না।

সাধারণ তথ্যাবলী

১) বিভিন্ন দেশ থেকে তুরস্ক ভ্রমণের জন্য যেসব ক্যাটেগরিতে ভিসা দেওয়া হয় তা হল- ১)ভ্রমণ/ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে, ২) অফিসিয়াল ভিসা, ৩) শিক্ষার্থী বা শিক্ষা উদ্দেশ্যে ভিসা, ৪) কর্মী ভিসা, ৫) অন্যান্য ভিসা (যেমনঃট্রানজিট, চিকিৎসা ইত্যাদি)।

২) যে তারিখ পর্যন্ত একজন আবেদনকারী তুরস্কে অবস্থান করতে চান তার থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত আবেদনকারীর পাসপোর্টের মেয়াদ থাকা বাধ্যতামূলক।

৩) ভিসা পাওয়া একজন ব্যক্তি প্রতি ১৮০ দিনের মধ্যে ৯০ দিনের বেশি তুরস্কে অবস্থান করতে পারবে না। এর থেকে বেশি সময় তুরস্কে অবস্থান করতে হলে ঐ ব্যক্তিকে ‘স্বল্প মেয়াদে বসবাসের অনুমতি’ নিতে হবে।

৪) ভিসা পাওয়া ব্যক্তিকে তুরস্ক ভ্রমণের সময় ইন্সুরেন্স করিয়ে নিতে হবে।

৫) কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী অথবা অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি নাগরিকদের তুরস্ক ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন নেই। তবে এর বাইরে সাধারণ পাসপোর্টধারী বাংলাদেশিদের তুরস্ক ভ্রমণে ভিসার প্রয়োজন হবে।

তবে কারও যদি সেনজেন ভিসা থাকে আর সেই ভিসার যদি মেয়াদ থাকে তাহলে সেই ভিসা দিয়েও তুরস্ক ভ্রমণ করতে পারবেন একজন বাংলাদেশি। কিন্তু যদি সেনজেন ভিসা না থাকলে তাহলে আবেদনকারীকে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য অথবা আয়ারল্যান্ডে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

শর্তগুলো পূরণ সাপেক্ষে একজন আবেদনকারীকে প্রাথমিক পর্যায়ে এক মাস মেয়াদী ‘সিঙ্গেল-এন্ট্রি’ ভিসা দেওয়া হবে।

আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য ঘুরে আসতে পারেন এই লিংকে-

www.konsolosluk.gov.tr

এসএইচএস/টিকে